জি-মেলকে (gmail) চিনুন!
কী ভাবছেন? ঝিঙ্কু প্রেমিকা থেকে সে এখন ঘরের বউ হয়ে গেছে বলেই তার পুরোটা জানাও হয়ে গেছে?
যদি সে কথাই ভাবেন, তাহলে আখেরে লাভের লাভ কিস্যু হবে না। টেকনো দুনিয়ার পুরোটা মানুষের মনের মতোই প্যাঁচে প্যাঁচে বাঁধা। তাই কোন গিঁটে টান দিলে কী ফল হয়, সেটা হাতেনাতে বাজিয়ে দেখতে হবে তো! নইলে আর জি-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে লাভ কী হল!
আসলে, চেনা জি-মেলের অচেনা ফিচারগুলোকে চিনতে হলে একটু সমঝদারি দরকার। সময় বাঁচানোর সমঝদারি, কম ঝক্কিতে নিজের কাজ সামলে নেওয়ার বুঝদারি। এটাই তো ভার্চুয়াল দুনিয়ার আসল ক্যারিশ্মা। যা হবে, চটজলদি হবে।
এবার তাহলে চটজলদি জি-মেলের সঙ্গে একটা সপ্তপদী সেরে ফেলা যাক! সাতটা পাক আর তাতেই আপনার জি-মেলের সঙ্গে দেয়া-নেয়া সারা! সেই সাত ফিচার্স, জি-মেলের যে সুবিধেগুলোর কথা আপনি তেমন করে জানতেনই না।
১. এক্সট্রা ডটেড অ্যাফেয়ার
অনেকেরই ধারণা আছে যে, জি-মেল মেল-আইডি-র ব্যাপারে ভীষণ স্পর্শকাতর আর সাবেকি। আইডি-র প্রত্যেকটি অক্ষরকে তাই যেমনটি তেমন বসাতে হবে; ভুল করেও তার মধ্যে কোনও ডট্ (.) পড়লে চলবে না! পড়লেই চিত্তির; মেল আর পৌঁছাবে না ঠিকানায়!
আমি বলি, গুজবে কান দেবেন না। আধুনিকা জি-মেলের এসব বাতিক তো নেই-ই; উল্টে সে এক্সট্রা-ডটেড আইডি-কেও হেসেখেলে সামলে নেয়। ধরুন, আপনি মেল পাঠাতে চাইছেন anirbanchaudhury@gmail.com ঠিকানায়। ওদিকে টাইপ করার সময়ে তাড়াহুড়োয় একটা পুট পড়েই গেল। আইডি-টার চেহারা দাঁড়াল, anirban.chaudhury@gmail.com! নিশ্চিন্ত থাকুন, অনির্বাণ আপনার মেল ঠিক পাবে!
এই ফাঁকে চুপিচুপি বলে রাখি, a.n.i.r.b.a.n.c.h.a.u.d.h.u.r.y.@gmail.com – এভাবে পাঠালেও জি-মেল আপনার কথা ঠিক পৌঁছে দেবে। আইডি-র অক্ষরের মাঝে কী রইল, এসব নিয়ে জি-মেল আদৌ মাথা ঘামায় না।
২. জি-মেলের অ্যালার্মিং স্নুজ (snooze)
চোখ কপালে তুলবেন না! দিনকালই এমন যে একটা প্রযুক্তি দ্যাখ না দ্যাখ নিজেকে ফিট করে ফেলছে অন্যের শরীরে। জি-মেলের শরীরেও যদি একটু-আধটু অ্যালার্মিং গুণাগুণ দেখা দেয়, মন্দ কি? তা বলে জি-মেলে অ্যালার্ম বাজবে- এটা আশা করবেন না, প্লিজ!
ভেবে দেখেছেন কখনও, ঝপাঝপ একটার পর আরেকটা মেল, আগেরটা বন্ধ না করেই এন্তারসে খুলে গেলে, ইনবক্সটাকে কেমন ভয়ানক দেখতে লাগে? তাছাড়া, যে মেলগুলো খোলা হল, সেগুলো বন্ধ করবে কে- এই কূটনৈতিক প্রশ্নটাও সাবকনশাস মনকে বড্ড বিরক্ত করে। সেটা বুঝতে পেরেই জি-মেল হাতের নাগালে রেখেছে the free Gmail app Boomerang। এটা ব্যবহার করতে শুরু করলেই অর্ধেক সমস্যা মিটে গেল। যত খুশি মেল খুলুন আর একটা টাইমার সেট করে রাখুন। দেখবেন, সেই নির্দিষ্ট সময়ের পরে খোলা মেলগুলো নিজে থেকেই কেমন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সুড়সুড় করে!
৩. চোর ধরবে জি-মেল
আগেই একবার বলেছি, আইডি-র অক্ষরের মাঝে কী চিহ্ন রইল, তা নিয়ে জি-মেল মোটেই ভাবিত নয়। আপনিও ভাবিত না-হয়ে ওই সুবিধেটাকেই কাজে লাগিয়ে চোর ধরতে পারেন। সেই চোরকে, যে আপনার আইডি পাচার করছে অন্যের কাছে। কীভাবে?
ধরুন, আপনি গেছেন কোনও অন-লাইন কেনাকাটার সাইটে। সেখানে সাইন আপ (sign up) করবেন নিজের আইডি দিয়েই। নইলে কেনাকাটার কতটা কী হল, সেই নোটিফিকেশন চটজলদি পাবেন কই? এখন, এই যে অন্য সাইটে নিজের আইডি ছাড়ছেন, তা নিরাপদ তো? সেটাই বাজিয়ে দেখুন জি-মেল দিয়ে।
স্রেফ ‘+’- এই চিহ্নটা বসিয়ে দিন আইডির শেষে আর তার পরে জুড়ে দিন আরেকটা কিছু। anirbanchaudhury@gmail.com-এর বদলে যেমন লিখতে হবে anirbanchaudhury+shopping@gmail.com। ব্যস, যথেষ্ট। নিশ্চিন্ত থাকুন, ওই অন-লাইন সংস্থার সব নোটিফিকেশন তো আপনি পাবেনই; তার ওপর পেলেও পেতে পারেন অন্যান্য কিছু অন-লাইন সংস্থার নোটিফিকেশনও। তারপর আর বুঝতে বাকি কী থাকবে যে কে পাচার করেছে আপনার আইডি?
৪. ডেস্কটপে মেলের নোটিফিকেশন
নিশ্চিন্ত থাকুন, আপনি ঠিকই পড়ছেন। মেল এলে তার নোটিফিকেশনটা আপনার ডেস্কটপেই পপ-আপ (pop-up) করে জানিয়ে দিতে পারে জি-মেল। দরকার শুধু সেটিংস্-এ (Settings) গিয়ে সামান্য স্ক্রল ডাউন (scroll down) করে ডেস্কটপ নোটিফিকেশন-টা (Desktop Notifications) অ্যাক্টিভেট করে রাখা।
তারপরে, সে পরকীয়ার হোক অথবা কাজের, ঘন ঘন মেলের আনাগোনায় চোখ রাখাটা আপনার আটকায় কে?
৫. এক ক্লিকে ইনবক্স সাফ
জি-মেলের দয়ার শরীর, বিনিপয়সায় নেহাত কম জায়গা আমাদের সে দেয় না। কিন্তু তারপরেও এই আমার মতো পৃথিবীর বিচিত্র প্রাণীরা কি আর সেই ইনবক্সটাকে ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোট এ তরী’ পর্যায়ে নিয়ে যায় না? একটিও মেল মুছে না দিয়ে জঞ্জাল বোঝাই করে না? তারপরে যখন মেল আসে না বা যায় না, তখন নাকানিচোবানিটাও ভোগ করে ভালমতোই।
কিন্তু দয়ালু জি-মেল আদতে মুশকিল আসানও। বার বার ক্লিক করে আঙুলে ব্যথা ধরিয়ে সব মেল মোছার যাতনা থেকে সে আমাদের রেহাই দিয়েছে। এটা তো লেখাই থাকে যে সবশুদ্ধ ক’টা মেল ইনবক্সে জমা হয়ে আছে। এই আমারই যেমন, ১,৩৩৭ খানা! তাহলে উপায়? ওই সংখ্যার জায়গাটা থেকে চলে যান ‘শো মোর মেসেজেস’-এ (show more messages)। তার পরে বাঁ দিকের একেবারে ওপরে ছোট্ট বক্সটায় শুধু একটা ক্লিক করলেই কেল্লা ফতে। সঙ্গে সঙ্গে সবক’টা মেল মার্কড্ হয়ে যাবে। তারপর সেগুলোকে মুছে ফেলতে আর কতক্ষণ?
৬. মেল পাঠিয়েও ফিরিয়ে নেওয়া
আচ্ছা, এরকম কি হয় না যে একটা মেল চলে গেল ভুল ঠিকানায়? অথবা চিঠির বয়ানে বানান ভুল-টুল রয়ে গেল? এরকম যদি হয়েই থাকে- সে লজ্জা ঢাকবেন কীসে?
ওই জি-মেল দিয়েই। অতশত না-ভেবে সোজা চলে যান সেটিংস-এ (Settings)। সেখান থেকে ল্যাবস্ (labs)। তার পরে একটু স্ক্রল ডাউন করে আন-ডু সেন্ড (undo send)। আর কী, হয়েই গেছে। শুধু এনেবল (enable) করে সেভ চেঞ্জেস (save changes) ক্লিক করলেই হল। আপনার রহস্য তাহলে গোপনই থাকবে।
৭. সুশৃঙ্খল জি-মেল
মানুষের বাচ্চার মতো জি-মেলও বেয়াড়া হয় ঠিকঠাক শৃঙ্খলার অভাবে। আর সেটা হলে আখেরে নিজেরই মুশকিল। হয় কোনও কাজের মেল খুঁজে পাবেন না ঠিক সময়ে, অথবা কোনও দরকারি মেল মনের ভুলে মুছে দিয়ে বসে থাকবেন। কী দরকার এত ঝক্কির? তার চেয়ে নানান রকম চিহ্ন ব্যবহার করে কোন মেলটা দরকারের, কোনটা নয়- সেটা মার্ক করে রাখলেই তো হয়।
তার জন্য চলে যান জেনারেল-এ (general), সেখান থেকে স্টার্স-এ (stars)। ওখানে পাক্কা ছয় রকমের রঙিন তারা আর ছয় রকমের আরও হরেক চিহ্ন পাবেন। কোনটা কীসের জন্য ঠিক করে ফেলে সেভ চেঞ্জেস (save changes) করে ফেললেই আপনাকে আর পায় কে?
কী ভাবছেন? ঝিঙ্কু প্রেমিকা থেকে সে এখন ঘরের বউ হয়ে গেছে বলেই তার পুরোটা জানাও হয়ে গেছে?
যদি সে কথাই ভাবেন, তাহলে আখেরে লাভের লাভ কিস্যু হবে না। টেকনো দুনিয়ার পুরোটা মানুষের মনের মতোই প্যাঁচে প্যাঁচে বাঁধা। তাই কোন গিঁটে টান দিলে কী ফল হয়, সেটা হাতেনাতে বাজিয়ে দেখতে হবে তো! নইলে আর জি-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে লাভ কী হল!
আসলে, চেনা জি-মেলের অচেনা ফিচারগুলোকে চিনতে হলে একটু সমঝদারি দরকার। সময় বাঁচানোর সমঝদারি, কম ঝক্কিতে নিজের কাজ সামলে নেওয়ার বুঝদারি। এটাই তো ভার্চুয়াল দুনিয়ার আসল ক্যারিশ্মা। যা হবে, চটজলদি হবে।
এবার তাহলে চটজলদি জি-মেলের সঙ্গে একটা সপ্তপদী সেরে ফেলা যাক! সাতটা পাক আর তাতেই আপনার জি-মেলের সঙ্গে দেয়া-নেয়া সারা! সেই সাত ফিচার্স, জি-মেলের যে সুবিধেগুলোর কথা আপনি তেমন করে জানতেনই না।
১. এক্সট্রা ডটেড অ্যাফেয়ার
অনেকেরই ধারণা আছে যে, জি-মেল মেল-আইডি-র ব্যাপারে ভীষণ স্পর্শকাতর আর সাবেকি। আইডি-র প্রত্যেকটি অক্ষরকে তাই যেমনটি তেমন বসাতে হবে; ভুল করেও তার মধ্যে কোনও ডট্ (.) পড়লে চলবে না! পড়লেই চিত্তির; মেল আর পৌঁছাবে না ঠিকানায়!
আমি বলি, গুজবে কান দেবেন না। আধুনিকা জি-মেলের এসব বাতিক তো নেই-ই; উল্টে সে এক্সট্রা-ডটেড আইডি-কেও হেসেখেলে সামলে নেয়। ধরুন, আপনি মেল পাঠাতে চাইছেন anirbanchaudhury@gmail.com ঠিকানায়। ওদিকে টাইপ করার সময়ে তাড়াহুড়োয় একটা পুট পড়েই গেল। আইডি-টার চেহারা দাঁড়াল, anirban.chaudhury@gmail.com! নিশ্চিন্ত থাকুন, অনির্বাণ আপনার মেল ঠিক পাবে!
এই ফাঁকে চুপিচুপি বলে রাখি, a.n.i.r.b.a.n.c.h.a.u.d.h.u.r.y.@gmail.com – এভাবে পাঠালেও জি-মেল আপনার কথা ঠিক পৌঁছে দেবে। আইডি-র অক্ষরের মাঝে কী রইল, এসব নিয়ে জি-মেল আদৌ মাথা ঘামায় না।
২. জি-মেলের অ্যালার্মিং স্নুজ (snooze)
চোখ কপালে তুলবেন না! দিনকালই এমন যে একটা প্রযুক্তি দ্যাখ না দ্যাখ নিজেকে ফিট করে ফেলছে অন্যের শরীরে। জি-মেলের শরীরেও যদি একটু-আধটু অ্যালার্মিং গুণাগুণ দেখা দেয়, মন্দ কি? তা বলে জি-মেলে অ্যালার্ম বাজবে- এটা আশা করবেন না, প্লিজ!
ভেবে দেখেছেন কখনও, ঝপাঝপ একটার পর আরেকটা মেল, আগেরটা বন্ধ না করেই এন্তারসে খুলে গেলে, ইনবক্সটাকে কেমন ভয়ানক দেখতে লাগে? তাছাড়া, যে মেলগুলো খোলা হল, সেগুলো বন্ধ করবে কে- এই কূটনৈতিক প্রশ্নটাও সাবকনশাস মনকে বড্ড বিরক্ত করে। সেটা বুঝতে পেরেই জি-মেল হাতের নাগালে রেখেছে the free Gmail app Boomerang। এটা ব্যবহার করতে শুরু করলেই অর্ধেক সমস্যা মিটে গেল। যত খুশি মেল খুলুন আর একটা টাইমার সেট করে রাখুন। দেখবেন, সেই নির্দিষ্ট সময়ের পরে খোলা মেলগুলো নিজে থেকেই কেমন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সুড়সুড় করে!
৩. চোর ধরবে জি-মেল
আগেই একবার বলেছি, আইডি-র অক্ষরের মাঝে কী চিহ্ন রইল, তা নিয়ে জি-মেল মোটেই ভাবিত নয়। আপনিও ভাবিত না-হয়ে ওই সুবিধেটাকেই কাজে লাগিয়ে চোর ধরতে পারেন। সেই চোরকে, যে আপনার আইডি পাচার করছে অন্যের কাছে। কীভাবে?
ধরুন, আপনি গেছেন কোনও অন-লাইন কেনাকাটার সাইটে। সেখানে সাইন আপ (sign up) করবেন নিজের আইডি দিয়েই। নইলে কেনাকাটার কতটা কী হল, সেই নোটিফিকেশন চটজলদি পাবেন কই? এখন, এই যে অন্য সাইটে নিজের আইডি ছাড়ছেন, তা নিরাপদ তো? সেটাই বাজিয়ে দেখুন জি-মেল দিয়ে।
স্রেফ ‘+’- এই চিহ্নটা বসিয়ে দিন আইডির শেষে আর তার পরে জুড়ে দিন আরেকটা কিছু। anirbanchaudhury@gmail.com-এর বদলে যেমন লিখতে হবে anirbanchaudhury+shopping@gmail.com। ব্যস, যথেষ্ট। নিশ্চিন্ত থাকুন, ওই অন-লাইন সংস্থার সব নোটিফিকেশন তো আপনি পাবেনই; তার ওপর পেলেও পেতে পারেন অন্যান্য কিছু অন-লাইন সংস্থার নোটিফিকেশনও। তারপর আর বুঝতে বাকি কী থাকবে যে কে পাচার করেছে আপনার আইডি?
৪. ডেস্কটপে মেলের নোটিফিকেশন
নিশ্চিন্ত থাকুন, আপনি ঠিকই পড়ছেন। মেল এলে তার নোটিফিকেশনটা আপনার ডেস্কটপেই পপ-আপ (pop-up) করে জানিয়ে দিতে পারে জি-মেল। দরকার শুধু সেটিংস্-এ (Settings) গিয়ে সামান্য স্ক্রল ডাউন (scroll down) করে ডেস্কটপ নোটিফিকেশন-টা (Desktop Notifications) অ্যাক্টিভেট করে রাখা।
তারপরে, সে পরকীয়ার হোক অথবা কাজের, ঘন ঘন মেলের আনাগোনায় চোখ রাখাটা আপনার আটকায় কে?
৫. এক ক্লিকে ইনবক্স সাফ
জি-মেলের দয়ার শরীর, বিনিপয়সায় নেহাত কম জায়গা আমাদের সে দেয় না। কিন্তু তারপরেও এই আমার মতো পৃথিবীর বিচিত্র প্রাণীরা কি আর সেই ইনবক্সটাকে ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোট এ তরী’ পর্যায়ে নিয়ে যায় না? একটিও মেল মুছে না দিয়ে জঞ্জাল বোঝাই করে না? তারপরে যখন মেল আসে না বা যায় না, তখন নাকানিচোবানিটাও ভোগ করে ভালমতোই।
কিন্তু দয়ালু জি-মেল আদতে মুশকিল আসানও। বার বার ক্লিক করে আঙুলে ব্যথা ধরিয়ে সব মেল মোছার যাতনা থেকে সে আমাদের রেহাই দিয়েছে। এটা তো লেখাই থাকে যে সবশুদ্ধ ক’টা মেল ইনবক্সে জমা হয়ে আছে। এই আমারই যেমন, ১,৩৩৭ খানা! তাহলে উপায়? ওই সংখ্যার জায়গাটা থেকে চলে যান ‘শো মোর মেসেজেস’-এ (show more messages)। তার পরে বাঁ দিকের একেবারে ওপরে ছোট্ট বক্সটায় শুধু একটা ক্লিক করলেই কেল্লা ফতে। সঙ্গে সঙ্গে সবক’টা মেল মার্কড্ হয়ে যাবে। তারপর সেগুলোকে মুছে ফেলতে আর কতক্ষণ?
৬. মেল পাঠিয়েও ফিরিয়ে নেওয়া
আচ্ছা, এরকম কি হয় না যে একটা মেল চলে গেল ভুল ঠিকানায়? অথবা চিঠির বয়ানে বানান ভুল-টুল রয়ে গেল? এরকম যদি হয়েই থাকে- সে লজ্জা ঢাকবেন কীসে?
ওই জি-মেল দিয়েই। অতশত না-ভেবে সোজা চলে যান সেটিংস-এ (Settings)। সেখান থেকে ল্যাবস্ (labs)। তার পরে একটু স্ক্রল ডাউন করে আন-ডু সেন্ড (undo send)। আর কী, হয়েই গেছে। শুধু এনেবল (enable) করে সেভ চেঞ্জেস (save changes) ক্লিক করলেই হল। আপনার রহস্য তাহলে গোপনই থাকবে।
৭. সুশৃঙ্খল জি-মেল
মানুষের বাচ্চার মতো জি-মেলও বেয়াড়া হয় ঠিকঠাক শৃঙ্খলার অভাবে। আর সেটা হলে আখেরে নিজেরই মুশকিল। হয় কোনও কাজের মেল খুঁজে পাবেন না ঠিক সময়ে, অথবা কোনও দরকারি মেল মনের ভুলে মুছে দিয়ে বসে থাকবেন। কী দরকার এত ঝক্কির? তার চেয়ে নানান রকম চিহ্ন ব্যবহার করে কোন মেলটা দরকারের, কোনটা নয়- সেটা মার্ক করে রাখলেই তো হয়।
তার জন্য চলে যান জেনারেল-এ (general), সেখান থেকে স্টার্স-এ (stars)। ওখানে পাক্কা ছয় রকমের রঙিন তারা আর ছয় রকমের আরও হরেক চিহ্ন পাবেন। কোনটা কীসের জন্য ঠিক করে ফেলে সেভ চেঞ্জেস (save changes) করে ফেললেই আপনাকে আর পায় কে?