Welcome text

নয়াদিল্লি: প্রিপেড গ্রাহকদের জন্য আনলিমিটেড কলের সুবিধা চালু করল ভারতী এয়ারটেল। আজ থেকে এয়ারটেলের গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবেন। এর মূল্য ধার্য হয়েছে ৭ টাকা। ৭ টাকার বিনিময়ে এই সুবিধা মধ্যরাত থেকে সকাল ছটা পর্যন্ত পাবেন গ্রাহকরা। কোম্পানির পক্ষ থেকে এই বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। ১২৯ ডায়াল করে এই সুবিধা অ্যাক্টিভেট করতে পারবেন গ্রাহকরা। কোম্পানি ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফেসবুক অ্যাকসেস ফ্রি করেছে। এয়ারটেলের ঘোষণা অনুযায়ী, রাতের জন্য এই আনলিমিটেড কলের সুবিধার মাধ্যমে তাদের প্রিপেড গ্রাহকরা মাত্র ৭ টাকায় লোকাল এয়ারটেল ফোনে মধ্যরাত ১২ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত যতখুশি কথা বলতে পারবেন।একইসঙ্গে এয়ারটেলের এই নাইট স্টোর অনুসারে, গ্রাহকরা মাত্র ৮ টাকায় আনলিমিটেড ২ জি ইন্টারনেট পরিষেবাও পাবেন। কথা বলা ও ইন্টারনেটে- দুটি সুবিধা একত্রে ১৫ টাকায় পাবেন গ্রাহকরা। কোম্পানি জানিয়েছে, কলকাতা,গুজরাত,মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ (পূর্ব),হরিয়ানা,কেরল,পঞ্জাব,ওড়িশায় এয়ারটেল প্রিপেড গ্রাহকরা লোকাল এয়ারটেল ফোনে আনলিমিটেড কল তথা মোবাইল ইন্টারনেট সুবিধা ৯ টাকায় পাবেন। কোম্পানির রাত্রিকালীন ৫০০ এমবি থ্রিজি পরিষেবা ২৯ টাকায় এবং ১ জিবি ৪৯ টাকায় পাবেন গ্রাহকরা।

মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৩

উবুন্টুতে টার্মিনাল খুলতে হলে প্রথমে ড্যাশে যান। ড্যাশ হচ্ছে উপরের বাম পাশে উবুন্টুর লোগোওয়ালা একটা বাটন। কিবোর্ড দিয়ে শর্টকাটে ড্যাশে যেতে উইন্ডোজ বাটন ক্লিক করুন। ড্যাশের সার্চবারে terminal লিখুন। নিচের ছবির মত একটা তালিকা আসবে। এবার সেখান থেকে Terminal এ ক্লিক করুন।

 টার্মিনাল খুললেই ইউজার নেম আর কম্পিউটার নেম অনেকটা নিচের মত ইমেইল এড্রেসের ফরম্যাটে থাকেঃ

name@name-desktop:~$
 
এই খানে @ এর আগের অংশ হল আপনার ইউজার নেম আর এর পরের অংশ হল আপনার পিসির নাম। $ সাইন দিয়ে বোঝা যায় যে টার্মিনাল আপনার কমান্ড নেবার জন্য প্রস্তুত।

 SUDO কি

sudo হল “SUper-user Do“। সাধারনত যেসব কোড গুরুত্বপূর্ন (যেমন কোন কিছু ইন্সটল বা রিমুভ করা), যেগুলোতে সিস্টেম মডিফিকেশনের ব্যাপারগুলো চলে আসে সেসব ক্ষেত্রে sudo ব্যবহার করতে হয়। সিস্টেম মডিফিকেশনের মত জটিল কাজগুলো সাধারন ব্যবহারকারিদের করার কোন অনুমতি দেয়া থাকেনা। ফলে যে কেউ ইচ্ছা করলেই কোন কিছু পাল্টাতে পারেনা। এই মডিফিকেশনগুলো করার জন্য একজনই কেবল অনুমতি পেয়ে থাকে, সে ই হল সুপার ইউজার। যার কাছে সুপার ইউজারের পাসওয়ার্ড থাকবে সে এইসব মডিফিকেশন করতে পারবে। তাই গুরুত্বপূর্ন কাজগুলো করার জন্য sudo ব্যবহার করতে হয়।
উবুন্টুতে sudo কমান্ড ব্যবহার করলে ১৫ মিনিটের জন্য সে পাসওয়ার্ড তার মেমরিতে রাখে। ১৫ মিনিট পর আপনা আপনি পাসওয়ার্ড মুছে ফেলে। ফলে এই সময় অন্য কোন sudo কমান্ডের জন্য পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হয়না। এটা অনেকটা স্প্রিং লাগানো দরজার মত, একবার খুললে কিছুক্ষন খোলা থাকে তারপর নির্দিষ্ট সময় পর নিজে নিজেই দরজা বন্ধ করে দেয়। তাই সব কাজেই sudo ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ না

sudo apt-get update
 
প্রথমেই টার্মিনাল ওপেন করুন। এরপর উপরের কোডটি কপি করুন। মাউস পয়েন্টার দিয়েও করতে পারেন অথবা Ctrl+c চেপে কিবোর্ড থেকেও করতে পারেন। এবার টার্মিনালে কোডটি পেস্ট করুন। এইক্ষেত্রেও মাউস পায়েন্টার বা Ctrl+Shift+v চেপেও করতে পারেন। পেস্ট করা হয়ে গেলে Enter চাপুন। একটা ফিরতি রেসপন্স পাবেন নিচের মত যেখানে আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে বলা হবে।
[sudo] password for (your name):
এটা হল sudo ব্যবহার করার খেসারত। যেহেতু আপনি মডিফিকেশন করতে চাচ্ছেন তাই উবুন্টু আরেকবার নিশ্চিত হবার জন্য আপনাকে এই পাসওয়ার্ড দিতে বলছে। অর্থ্যাৎ সে নিশ্চিত হতে চাচ্ছে যে এটা আপনিই, অন্য কোন র‍্যান্ডম ইউজার না। পাসওয়ার্ড যখন দিবেন তখন কিন্তু কোন অক্ষর বা চিহ্ন স্ক্রিনে দেখা যাবেনা। তাই যদি টাইপিং এ কোন ভুল হয় তবে কিছুক্ষণ ব্যাকস্পেস চেপে ধরে আবার পাসওয়ার্ড লেখা শুরু করুন। পাসওয়ার্ড দেয়া শেষ হলে Enter চাপুন। একটা লাইন লিখে যে কাজটা করলেন ঠিক এই কাজটাই করা যায় System–> Administration–> Update Manager চালিয়ে।

যারা উবুন্টুতে গুরুটাইপের লোক তাদের জন্য এটা খুবই পাওয়ারফুল একটা কমান্ড। কিন্তু কথায় আছেনা “With great power comes great responsibility”। ব্যাপারটা এই কোডের ক্ষেত্রে একেবারে হাড়ে হাড়ে সত্যি। এই কোড প্রয়োগে একটু ভুলের জন্য চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

কোডটা হলঃ
SUDO RM -RF /
 
এক্সিডেন্টালি এই কোড দিয়ে ফেললে সর্বশেষ গার্ড হিসেবে থাকবে sudo কমান্ডের পাসওয়ার্ড প্রম্পট। যদি আপনি পাসওয়ার্ড দিয়ে ফেলেন বা অন্য কোন sudo চালানোর ১৫ মিনিটের মধ্যে এই কোড চালান তবে আর কিছু করার নেই! sudo হচ্ছে অদ্বিতীয় একটা সিকিউরিটি সিস্টেম, কিন্তু এটা আপনার নিজের ভুল থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারবেনা। এতগুলো কথা কেন বললাম? বললাম যাতে আপনি এই কোডগুলো টার্মিনালে প্রয়োগ না করেন।
কি করে এই কোড? আসুন তাহলে কোডটাকে বিশ্লেষণ করিঃ
SUDO: কোডটিকে সিস্টেমে কাজ করার অনুমতি দেয় (এবং অবশ্যই আপনার অনুমতি সাপেক্ষে)।
RM: এই কোডটি এক বা একাধিক ফাইল রিমুভ (ReMove) করে।
-R: এটি দিয়ে বোঝায় Recursive, এই অপশন যেকোন ফোল্ডারকে সাবফোল্ডারসহ ডিলিট করে দেয়। যদি লেখা হয় RM -R /home/ovroniil তবে ovroniil ফোল্ডারটা তার সব সাবফোল্ডারসহ চিরতরে ডিলিট হয়ে যাবে।
F: এটি দিয়ে বোঝায় Force। এর মানে হচ্ছে সিস্টেম এই কমান্ডকে কাজ করতে যতই বাধা দিক, এই কমান্ড F এর গুনে সর্বময়ক্ষমতার অধিকারী। অর্থ্যাৎ যা কিছুই হোক না কেন এই কমান্ড রান করবেই করবে!
/: এটা হচ্ছে এই কমান্ডের সবচেয়ে ভয়ংকর অংশ। যার মানে হচ্ছে পুরো “রুটকে”ই ডিলিট করে দেয়া।
যদি কোডটা নিচের মত লেখা থাকেঃ
sudo rm -rf /home/ananda/downloads
 
তারমানে হচ্ছে ইউজার Ananda হোমে অবস্থিত downloads ফোল্ডারটিকে তার সব ফাইল আর সাবফোল্ডারসহ ডিলিট করে দেয়া হবে। কিন্তু যদি “/home/ovroniil/downloads” জায়াগায় শুধু “/” দেয়া থাকে তারমানে “সবকিছু” (যত ফাইল, ফোল্ডার যা আছে সব) ডিলিট করে দেয়া।
তাই কোথাও এই কোড বা এই ধরনের কোড দেখলে জেনেই হোক বা না জেনেই হোক কখনো টার্মিনালে চালাবেননা। তবে এই কোডের একটা দারুন স্টাইলিশ নাম আছে – “The 10-character code of death” অর্থ্যাৎ “১০ অক্ষরের মরণনাশা কোড“!
 

ধরুন আপনি কোন এ্যাপ্লিকেশন চালাতে চাচ্ছেন। টার্মিনাল খুলে কেবল এ্যাপ্লিকেশনের নামটি লিখুন। যদি ফায়ারফক্স চালাতে চান তাহলে লিখুন
firefox
তারপর এন্টার চাপুন। কি দেখলেন? মাউস দিয়ে ক্লিক না করেও ফায়ারফক্সকে রান করানো সম্ভব! এভাবে যেকোন এ্যাপ্লিকেশনকে টার্মিনাল থেকে রান করানো যায়। যেমন ভিএলসি প্লেয়ার রান করতে টার্মিনালে লিখুন
vlc
তারপর এন্টার চাপুন। ব্যস ভিএলসি প্লেয়ার ওপেন হয়ে গেল! এবার আসুন আরেকটু মজা করি। টার্মিনালে লিখুন
date
এন্টার চাপলেই দেখবেন আজকের তারিখ দেখাবে। এবার টার্মিনালে লিখুন
cal
পুরো মাসের ক্যালেন্ডার দেখতে পাবেন। আপনার কম্পিউটারে ডিস্ক কতটুকু ব্যবহার হল সেটা জানতে টার্মিনালে লিখুন
df
নিচের কমান্ডটি টার্মিনালে রান করালে শেষ রিস্টার্টের পর থেকে আপনার পিসি কতক্ষণ ধরে চলছে তার হিসাব দেখাবে।
uptime
আপনার নিজের একাউন্ট সম্পর্কে জানতে টার্মিনালে লিখুন
whoami
আপনার সিস্টেম কার্নেল জানতে নিচের কমান্ডটি লিখুন
uname
উপরের তথ্যগুলোই আরো বিস্তারিত জানতে লিখুন
uname -a
 
আপনি যদি জানতে চান যে আপনি কোন ডিরেক্টরিতে আছেন তবে টার্মিনালে নিচের কমান্ডটি রান করান
pwd
আপনি কোন ডিরেক্টরিতে এই মুহূর্তে আছেন সেটা পর্দায় দেখাবে। যদি আপনি সেই ডিরেক্টরির সমস্ত ফাইলের লিস্ট চান তাহলে লিখুন
ls
এখন আপনি যদি এই ডিরেক্টরি থেকে অন্য কোন ডিরেক্টরিতে যেতে চান তবে আপনাকে টার্মিনালে লিখতে হবে
cd directory_name
এখানে directory_name হল যে ডিরেক্টরিতে যেতে চান তার ঠিকানা আর cd বোঝাচ্ছে Change Directory। যেমন আপনি যদি ডেস্কটপে যেতে চান তবে টার্মিনালে লিখুন
cd /home/user_name/Desktop

এখন আপনি যদি জানতে চান যে আপনি কোন ডিরেক্টরিতে আছেন তবে টার্মিনালে নিচের কমান্ডটি রান করান
pwd
আপনি কোন ডিরেক্টরিতে এই মুহূর্তে আছেন সেটা পর্দায় দেখাবে। যদি আপনি সেই ডিরেক্টরির সমস্ত ফাইলের লিস্ট চান তাহলে লিখুন
ls
এখন আপনি যদি এই ডিরেক্টরি থেকে অন্য কোন ডিরেক্টরিতে যেতে চান তবে আপনাকে টার্মিনালে লিখতে হবে
cd directory_name
এখানে directory_name হল যে ডিরেক্টরিতে যেতে চান তার ঠিকানা আর cd বোঝাচ্ছে Change Directory। যেমন আপনি যদি ডেস্কটপে যেতে চান তবে টার্মিনালে লিখুন
cd /home/user_name/Desktop
এখানে user_name বরাবরের মতই কম্পিউটারে আপনার ইউজার নেম হবে। আরেকট দেখার মত বিষয় হচ্ছে ডেস্কটপের D কিন্তু বড় হাতের, কারন উবুন্টুর ফাইল সিস্টেমে ডেস্কটপ বড়হাতের D দিয়েই লেখা। যদি ছোট হাতের d দিয়ে লেখেন, তবে টার্মিনাল এই ডিরেক্টরি খুঁজে পাবেনা। লিনাক্স হচ্ছে ‘কেস সেন্সিটিভ’ অর্থাৎ বড় হাতের অক্ষর ও ছোট হাতের অক্ষর – দুটা ভিন্ন জিনিস। লিনাক্স desktop ও Desktop – এ দুটোকে দুটো আলাদা নাম হিসেবে দেখে (যেখানে উইন্ডোজ দেখে একই নাম হিসেবে, অর্থাৎ উইন্ডোজ কেস সেন্সিটিভ না।)। যাই হোক অনেক কথা হয়ে গেল। আপনি ডেস্কটপেই আছেন কিনা সেটা দেখতে আবার নীচের কমান্ডটি চালান
pwd
এবার ধরুন আপনি ডেস্কটপে test নামে একটি ফোল্ডার বানাতে চাচ্ছেন। সেজন্য নিচের কমান্ডটি লিখতে হবে
mkdir /home/user_name/Desktop‌‌/test
এখানে mkdir মানে হচ্ছে Make Directory। এবার ডেস্কটপে গিয়ে দেখুন test নামে একটা ফোল্ডার তৈরি হয়ে আছে। যদি test ফেল্ডারে যেতে চান তাহলে লিখুন
cd /home/user_name/Desktop‌‌/test
test ফোল্ডার থেকে আবার ডেস্কটপে ফেরত যেতে (অর্থাৎ একধাপ উপরে যেতে) লিখুন
cd ../
এবার আপনি আছেন ডেস্কটপে। আপনার ইউজার নেমের ফোল্ডার অর্থাৎ হোম ফেল্ডারে ফেরৎ যেতে (অর্থাৎ একধাপ উপরে যেতে) আবার লিখুন
cd ../
এই কমান্ডটা ফাইল ব্রাউজারের UP (আপ) বাটনটার কাজ করে। সদ্য বানানো test ফাইলটা যদি মুছে ফেলতে চান তবে টার্মিনালে লিখুন
rm -r /home/user_name/Desktop‌‌/test
টার্মিনাল নিয়ে ভয় কাটতে আর কদ্দূর? খেয়াল করেছেন কি উপরের কমান্ডগুলোতে কিন্তু sudo লিখতে হয়নি। কারণ এসব কাজ করার জন্য আপনার কোন এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ এ্যাক্সেস দরকার নেই। অন্য কথায় উপরের কমান্ডগুলো দিয়ে সিস্টেমের কোন কিছু পাল্টানো হচ্ছে না, কেবল ইউজার হিসেবে আপনার যতটুকু এখতিয়ার ততটুকুতেই আপনি কাজ করছেন। এবার তাহলে টার্মিনাল নিয়ে আরেকটু মজা করি। ধরুন আপনি জানেননা যে কোন কমান্ডের কি কাজ। সেক্ষেত্রে কমান্ডের আগে man লিখে টার্মিনালে চালান। যেমন date কমান্ড দিয়ে কি কাজ হয় আপনি তা জানেননা। তাহলে টার্মিনালে লিখুন
man date
এবার দেখবেন date দিয়ে যা যা করা সম্ভব তার সব কিছুর বর্ণনা আপনাকে দিয়ে দেবে। বর্ণনা ক্লোজ করতে q চাপুন। এভাবে যেকোন কমান্ডের বিস্তারিত বিবরণ man এর সাহায্যে পাওয়া সম্ভব। বলতে ভুলে গেছি, man দিয়ে কিন্তু ম্যানুয়াল বুঝাচ্ছে।

যখন কোন কিছু ইন্সটল করতে হয় তখন apt-get ব্যবহার করে করতে হয়। apt হচ্ছে Advanced Packaging Tool এর সংক্ষিপ্ত রূপ। উবুন্টুতে কোন সফটওয়ার ইন্সটল করতে, আপডেট করতে, মুছে ফেলতে কিংবা পুরো উবুন্টু সিস্টেমকে আপগ্রেড করতে এটা ব্যবহার করা হয়। ধরুন আপনি ভিএলসি প্লেয়ার ইন্সটল করতে চান, তবে টার্মিনালে লিখুন
sudo apt-get install vlc
খেয়াল করুন এখানে কিন্তু sudo লিখছি। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে কিভাবে বুঝব sudo লিখতে হবে কি হবেনা? উত্তর হচ্ছে করতে করতে বুঝে যাবেন কখন লিখতে হবে বা কখন হবেনা। তবে আপাতত sudo না লিখেই কমান্ড চালাতে থাকুন। যখন দেখবেন কোন কমান্ড দেবার পর বলছে যে আপনার এ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রিভিলেজ নেই সেই ক্ষেত্রে sudo দিয়ে আবার কমান্ডটি লিখুন। যেমন নিচের কমান্ডটি লিখুন
apt-get update
দেখবেন টার্মিনাল একটা ম্যাসেজ দিবে যাতে লেখা আছে যে রুট হিসেবে আপনাকে এই কমান্ডটা চালাতে হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আপনাকে sudo ব্যবহার করতে হবে। এবার কমান্ডিকে নিচের মত লিখুন
sudo apt-get update
দেখবেন যে এইবার আপনার পাসওয়ার্ড চাইবে, এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে দিলে কমান্ডটি তার কাজ শুরু করবে।

আপনি যদি আপনার কম্পিউটারের TCP/IP’র (নেটওয়ার্কিং সম্পর্কীয়) সব তথ্য জানতে চান তবে নীচের কমান্ডটি লিখুন
ifconfig
দেখবেন আপনার বিভিন্ন পোর্ট থেকে শুরু করে ম্যাক এড্রেস ট্যাড্রেস সব দেখিয়ে দেবে। নেট থেকে যদি কোন ফাইল ডাউনলোড করতে চান
wget http://file name
 
এখানে wget পর যা ডাউনলোড করতে চান তার এড্রেস দিলেই সেটা ডাউনলোড হয়ে যাবে। আর ডাউনলোড হবে আপনি যে ডিরেক্টরি থেকে এই কমান্ডটি চালাবেন সে ডিরেক্টরিতে। আপনি যদি গুগুলকে পিং করতে চান তাহলে লিখুন
ping www.google.com
গুগলের বদলে যেকোন সাইটের এ্যাড্রেস লিখে তাকে পিং করতে পারবেন। পিং থামাতে হলে Ctrl+z চাপুন। যদি গুগলের ডোমেইন নিয়ে বিভিন্ন ইনফরমেশন জানতে চান তাহলে টার্মিনালে লিখুন
whois www.google.com
আগেরবারেরটার মতই গুগলের পরিবর্তে অন্য যেকোন সাইটের ডোমেইন ইনফরমেশন এভাবে জানা যাবে। এবার চলুন কমান্ড দিয়ে কম্পিউটার বন্ধ করব। এর জন্য লিখুন
sudo halt
আর রিবুট করতে চাইলে লিখুন
sudo reboot
 






 
 

 

উবুন্টুর ফাইল

ফাইল হায়ারার্কি বা ডিরেক্টরির বেসিক দিয়েই শুরু করি। উইন্ডোজে ডিরেক্টরিগুলোকে ব্যাকস্ল্যাশ (\) দিয়ে লেখা হয় যেখানে উবুন্টুতে লেখা হয় স্ল্যাশ (/) দিয়ে। ধরুন আপনি Bangladesh ফোল্ডারের ভেতর রাখা Dhaka ফোল্ডারের Munsigonj ফাইলটিতে যাবেন। এই পুরো ব্যাপারটাকে উইন্ডোজে লেখা হয় নিচের মত করে:
Bangladesh\Dhaka\Munsigonj
ঠিক একই জিনিস উবুন্টুতে লেখা হয় নিচের মত করে:
Bangladesh/Dhaka/Munsigonj
অর্থাৎ স্ল্যাশ আর ব্যাকস্ল্যাশের পার্থক্য। উপরের উদাহরণে ফাইলগুলেকে গাছের শিকড়ের সাথে তুলনা করলে এর মূল বা গোড়া বা রুট হচ্ছে Bangladesh, এর ভেতরে অন্যান্য ফাইলগুলো রয়েছে। গোড়া বা রুট Bangladesh থেকেই যাত্রা শুরু করে অন্যান্য ফাইলে যেতে হবে। অর্থাৎ সহজ কথায়, ব্যাপারটাকে নিচের ছবির মত বলা যায়:

উপরের এই ছবিটিকেই বলা হয় ফাইল হায়ারার্কি। ফাইল হায়ারার্কি থেকেই বোঝা যায় কোন ফাইলের অবস্থান কোথায়। যেমন এথেকে বোঝা যায় যে Munsigonj ডিরেক্টরিতে যেতে কোন পথে যেতে হবে। একে তাই ডিরেক্টরি এড্রেস ও বলা হয়।
  • উইন্ডোজ বনাম উবুন্টুঃ
ধরুন উইন্ডোজে ফায়ারফক্স চালু করবেন আপনি। তো কি করবেন? প্রথমেই Start মেন্যু থেকে My Computer এ যাবেন, তারপর C: ড্রাইভে গিয়ে Program Files এ ঢুকে Mozilla Firefox ফোল্ডার থেকে firefox ফাইলটা ডাবল ক্লিক করে ওপেন করবেন। পুরো ব্যাপারটাকে নীচের মত করে লেখা যায়:
C:\\Program Files\Mozilla Firefox\firefox
আপাত দেখে মনে হতে পারে যে মূল বা রুট হওয়া উচিত My Computer যেহেতু ওখান থেকেই সব ড্রাইভে যাওয়া যাচ্ছে। আসলে ব্যাপার সেটা না, My Computer হচ্ছে একটা শর্টকাট যেটা আপনাকে এক লাফে বিভিন্ন পার্টিশন ও ডিভাইস যেখানে আছে সেখানে নিয়ে আসবে। তাই উপরের লাইন অনুসারে উইন্ডোজের রুট C: হবার কথা। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যদি আরো পার্টিশন থঅকে অর্থাৎ D: E: এসব ড্রাইভও থাকে তাহলে কি হবে? সহজভাবে বললে বলা যায় যে প্রতিটার জন্য আলাদা আলাদা রুট থাকবে। অর্থাৎ উইন্ডোজে ফাইলগুলো পার্টিশনের সংখ্যানুযায়ী অনেক গাছে বিভক্ত থাকতে পারে, প্রতিটা গাছের রুট আবার ভিন্ন।
আর উবুন্টুতে ফায়ারফক্স ওপেন করতে হলে যেটা করতে হবে সেটা হল লঞ্চার থেকে Home Folder এ গিয়ে Filesystem এ ঢুকে usr ফোল্ডারে অবস্থিত lib ফোল্ডারে গিয়ে firefox ফোল্ডারের firefox.sh এ ডাবল ক্লিক করতে হবে। উবুন্টুর পুরো ব্যাপারটাকে সাজানো যায় নিচের মত করে করে:
/usr/lib/firefox/firefox.sh
এখানে Home Folder আসলে একটা শর্টকাট হিসেবে কাজ করছে, যা কিনা ব্যবহারকারীকে রুটের কাছে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। তাহলে রুট কই? Filesystem নামে যে ড্রাইভটা দেখা যায় সেটাই আসলে রুট হিসেবে কাজ করছে এখানে। উপরের ডিরেক্টরির এড্রেসে যে একদম শুরুতেই usr এর আগে যে স্ল্যাশ (/) দেখা যাচ্ছে সেটা দিয়েই রুট বোঝানো হচ্ছে। অর্থাৎ “/usr/lib” মানে হচ্ছে “রুটের মধ্যে usr নামে ফোল্ডার আছে, তার ভেতরে রয়েছে lib ফোল্ডার”। লিনাক্সে রুট একটাই থাকে।
তারমানে আপনি যখন Filesystem এ আসেন তখন আসলে আপনি উবুন্টুর রুটে চলে আসেন। এই রুটের মধ্যেই সিস্টেম ফাইল থেকে শুরু করে ব্যবহারকারীর ব্যাক্তিগত ফাইল অর্থাৎ উবুন্টুর সব কিছু থাকে। রুটে গেলে অনেকগুলো ফোল্ডার দেখবেন। নিচে সেই ফোল্ডারগুলোর একটা হায়ারার্কি দেয়া হল:
  • রুট এবং এর ডিরেক্টরিগুলোঃ
উবুন্টুর (এবং লিনাক্সের) সব ফোল্ডার আর ফাইলের গোড়া হচ্ছে রুট (root)। রুট থেকেই সব ফাইলে বা ফোল্ডারে যেতে হয়। সাধারণত উইন্ডোজের C: ড্রাইভে গেলে বড়জোর চার পাঁচটা ফোল্ডার দেখা যায় যেখানে উবুন্টুতে রুটের ভেতর একগাদা ফোল্ডার দেখা যায়। উইন্ডোজের C: ড্রাইভে যেমন Program Files আর Windows ডিরেক্টরি দুটোর কাজ ভিন্ন তেমনি উবুন্টুতেও রুটের ভেতর থাকা এত্তোগুলো ডিরেক্টরির (ফোল্ডার) কাজও কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন। আসুন তাহলে দেখে নিই কোনটার কি কাজ:
/bin
এখানে লিনাক্সের মূল কমান্ডগুলো (বিশেষ করে টার্মিনালের কমান্ডগুলো) থাকে, যেগুলো সকল লিনাক্স ডিস্ট্রোতে তো একই, বরং অন্যান্য POSIX ওএসেও (যেমন: সোলারিস, বিএসডি, প্রভৃতি) একই।
/boot
এখানে থাকে কম্পিউটার কীভাবে লিনাক্সকে বুট করবে সে সম্পর্কিত ফাইল/ফোল্ডার।
/cdrom
এখানে আপনার সিডি/ডিভিডি ড্রাইভে প্রবেশ করানো ডিস্কটির সমস্ত ফাইলে এ্যাক্সেস করতে পারবেন।
/dev
এখানে থাকে ডিভাইস ফাইলসমূহ। মানে এটাকে হার্ডওয়্যার ড্রাইভার গুদামও বলা যায়।
/etc
এখানে থাকে বিভিন্ন এপ্লিকেশনের কনফিগারেশন ফাইলসমূহ। এটাকে উইন্ডোজ রেজিস্ট্রির সাথে তুলনা করা যায়।
/home
এটাই হচ্ছে ইউজারদের নিজস্ব এলাকা। প্রত্যেক ইউজারের আলাদা ফোল্ডার থাকবে এখানে সেই ইউজারের নামে। যখনই কোন ইউজার লগইন করে মেশিনে, শুধু এখানেই তার যা কিছু করার অধিকার থাকে। এর বাইরে কিছু করতে হলে হয় এডমিন হতে হবে, নয়তো এডমিনের পারমিশন লাগবে।
/lib
এখানে থাকে সফটওয়্যার চালানোর জন্য বিভিন্ন লাইব্রেরি। এটাকে উইন্ডোজের ডিএলএল ফাইলের ভাণ্ডার বলা যেতে পারে।
/lost+found
এ ফোল্ডারে হারিয়ে যাওয়া ফাইল থাকে। কোন কারণে যদি সিস্টেম ফেইল করে বা ফাইল সেভ করতে না পারে। পরবর্তী বুটের সময় সেটা রিকভারের চেষ্টা করা হয়। সেই সময়ে কিছু পেলে এই ফোল্ডারে সেগুলো রাখা হয়।
/media
উবুন্তুতে এক্সটার্নাল সকল ডিভাইস এই ফোল্ডারে মাউন্ট হয়। তবে হার্ডডিস্কে একাধিক পার্টিশন থাকলে সেগুলোও এখানে মাউন্ট হয়। সাধারণত ইনস্টলের সময় যদি পার্টিশনগুলো থাকে উবুন্তু স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলো এখানে মাউন্ট করে এবং Places ও ডেস্কটপে শর্টকাট আইকনও তৈরী করে। অন্যান্য প্লাগ এন প্লে ডিভাইস অটোমাউন্ট হয় এবং যথারীতি আইকন দেখায়।
/mnt
এটা আগে /media র কাজ করত। অন্যান্য লিনাক্সে এখনও করে। তবে উবুন্তু এখানে কিছু করে না। /mnt -র চাইতে /media টা বেশি ভালো শোনা, তাই না?
/opt
এখানে অনেক ইনস্টলার প্রোগ্রাম ইনস্টল করে।
/proc
এখানে কিছু ডাইন্যামিক ফাইল থাকে। যা হার্ডওয়্যার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। প্রোগ্রামারদের জীবন সহজ করার জন্য এখানে বেশ সহজ কিছু ফাইল পাওয়া যায়। যা পড়তে গেলে ডাইন্যামিক্যালি হার্ডওয়্যার ডাটা দেখায়। যেমন – নিচের কমান্ডটা প্রসেসরের ইনফরমেশন দেখাবে।
cat /proc/cpuinfo
/root
লিনাক্সে একজন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ইউজার থাকে। এই মহামান্য ইউজারের নাম root। এই ইউজার এই কম্পিউটারের যেকোন রকম পরিবর্তন করতে সক্ষম। অর্থাৎ এই কম্পিউটার ধ্বংস করার ক্ষমতাও তার হাতে। সুতরাং উবুন্তুতে এই ইউজারকে অক্ষম করে রাখা হয়েছে। আর এই ফোল্ডারটা তার হোম ফোল্ডার, ঠিক যেমনটা অন্যান্য ইউজারদের জন্য /home/USERNAME
/sbin
bin ফোল্ডারটির মত এখানেও লিনাক্সের মূল কমান্ডগুলো থাকে, বিশেষ করে সুপার ইউজারের কমান্ডগুলো।
/selinux
এ ফোল্ডারে লিনাক্স সিকিউরিটি সিস্টেম selinux এর কনফিগারেশন থাকে। এই selinux সিস্টেমে ইনস্টলকৃত প্রোগ্রামগুলোর পারমিশন, সিকিউরিটি প্রভৃতি ঠিক করে দেয়।
/srv
এ ফোল্ডারটি হচ্ছে ওয়েব সার্ভারের জন্য। অনেকটা /var/www যে কাজ করে সেটাই।
/sys
নামেই বোঝা যাচ্ছে এটা সিস্টেম ফোল্ডার।
/tmp
এখানে সকল প্রকার টেম্পোরারী ফাইল বা ক্যাশ থাকে।
/usr
এখানে সকল এপ্লিকেশন থাকে। অনেকটা উইন্ডোজের প্রোগ্রাম ফাইলস ফোল্ডারের মত। তবে এখানে আরও অনেক কিছুই থাকে, যেমন প্রোগ্রামারদের জন্য সহায়তাকারী ফাইল, লাইব্রেরী প্রভৃতি। মজার ব্যাপার হলো লিনাক্সের সোর্স কোডও এই ডিরেক্টরিতে পাওয়া যাবে src ফোল্ডারের ভেতর। উইন্ডোজে এই সোর্স ফোল্ডারটা পাবেন মাইক্রোসফটের কোন অফিসের সিন্দুকের ভেতর।
/var
এটাও অনেকটা ক্যাশের মত কাজ করে। তবে এখানে সার্ভারের পাবলিক ফোল্ডারও পাওয়া যায় www তে।

সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৩

এই টিউটোরিয়ালটা হচ্ছে তাদের জন্য যারা কম্পিউটারে উইন্ডোজের পাশাপাশি পার্টিশান করে উবুন্টুকে কম্পিউটারে ইন্সটল করতে চান। এই টিউটোরিয়াল অনুযায়ী উবুন্টু ইন্সটল করলে আপনার পিসির হার্ডডিস্কের নির্দিষ্ট পার্টিশান পুরোপুরি ফর্ম্যাট হয়ে যাবে। তবে পার্টিশান করতে সমস্যা হলে উইন্ডোজ মুছে গিয়ে শুধু উবুন্টু ইন্সটল হয়ে যেতে পারে। শুধু তাই-না, এর ফলে আপনার কম্পিউটারে থাকা সমস্ত তথ্য এবং ফাইল (ছবি, গান, সিনেমা, ডকুমেন্টস, সফটওয়্যার ইত্যাদি সবকিছুই) পুরোপুরি মুছে যাবে। তাই এই  টিউটোরিয়াল অনুসরণ করার আগে আপনার সমস্ত প্রয়োজনীয় ফাইল অন্য কোন হার্ডডিস্ক বা রিমুভেবল-মিডিয়া বা অন্য কোন কম্পিউটারে অবশ্যই অবশ্যই ব্যাকআপ করে রাখুন।
  • পূর্বপ্রস্তুতিঃ
আপনার প্রয়োজনীয় সকল ড্যাটা অন্য কোন কম্পিউটারে ব্যাকআপ করে রাখুন।

১। উবুন্টুর সিডি বা ইউএসবি স্টিক কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে কম্পিউটার বুট করুন। 

২। এবার আপনার সিস্টেম চেক করে দেখা হবে। পরের ধাপে যেতে Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৩। এবার ইন্সটলেশান টাইপ সিলেক্ট করতে হবে। আমরা চাচ্ছি নিজপদপর মত করে পার্টিশান সাজাতে। তাই “Something else” অপশনটা সিলেক্ট করুন। এতে করে উবুন্টু আপনার হার্ডডিস্ককে আপনার মত করে ফর্ম্যাট করার সুযোগ দিয়ে ইন্সটল হবার জন্য তৈরি হবে। Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৪। এবার পার্টিশন করার পালা। এই ধাপটা ইম্পর্ট্যান্ট। তাই খুব খেয়াল করে কাজ করুন। এধাপে প্রথমেই আপনার কম্পিউটারের বর্তমানের সব পার্টিশন একটা টেবিল হিসেবে নীচের ছবির মত করে দেখাবে। খেয়াল করুন নীচের ছবিতে টেবিলে দেখানো আছে যে কম্পিউটারে কেবল sda নামে একটা হার্ডডিস্কই আছে (/dev/sda কেবল দেখাচ্ছে কোন /dev/sdb ডিভাইস দেখাচ্ছে না)। sda এর নীচে চারটি পার্টিশন sda1, sda2, sda3, sda4 রয়েছে, যেগুলো ntfs ফর্ম্যাটের।

৫.১। প্রথমেই আগে থেকে ঠিক করে রাখা পার্টিশনটি মুছে ফেলুন। এজন্য পার্টিশনটি সিলেক্ট করুন (এখানে sda4 কে সিলেক্ট করা হল), তারপর টেবিলে নীচের ডিলিট বাটনে ক্লিক করুন।এবার দেখবেন নীচের ছবির মত sda4 এর জায়গায় “free space” কথাটা দেখাচ্ছে।
৫.২। এবার আমরা নতুন পার্টিশন তৈরি করব। আগেই বলেছি যে তিনটা পার্টিশন তৈরি করব। একটি রুট, একটি সোয়াপ এবং একটি হোম পার্টিশন।
৫.২.১। রুট পার্টিশান তৈরিঃ টেবিল থেকে “free space” সিলেক্ট করে Add বাটনে ক্লিক করুন। নিচের মত উইন্ডো পাবেন।
- New partition size in megabytes অংশে লিখুন 5000 (মানে ৫ গিগা) বা 10000 (মানে ১০ গিগা)। এখানে ১০গিগা জায়গা রুটের জন্য বরাদ্দ করা হল, ইচ্ছা করলে আপনি আরো জায়গা দিতে পারেন, তবে সাধারণ কাজের জন্য ১৫ গিগা’র বেশি জায়গা দরকার হয়না।
- Use As অংশে Ext4 সিলেক্ট করুন। (এটা হচ্ছে ফাইল ফরম্যাট। উইন্ডোজে যেমন ntfs সেরকম লিনাক্সে Ext4। তবে ইচ্ছা করলে অন্য যেকোনটি ব্যবহার করা যাবে। Ext4 লেটেস্ট বলে এখানে এটাতেই দেখানো হল।)
- Format the partition অংশে টিক দিন। (এতে করে আপনার পার্টিশন ফর্ম্যাট হবে।)
- Mount Point অংশে ” / ” সিলেক্ট করুন। (এর মানে হচ্ছে আপনি এই পার্টিশনটিকে রুটের জন্য নির্ধারণ করে দিচ্ছেন।)
- OK ক্লিক করুন।
৫.২.২। সোয়াপ পার্টিশান তৈরিঃ
- Free Space এ ক্লিক করুন।
- Add বাটনে ক্লিক করুন।
- New partition size in megabytes অংশে লিখুন 500 (৫০০মেগা) বা 1024 (১গিগা)
- Use As অংশে swap area সিলেক্ট করুন।
- OK ক্লিক করুন।
৫.২.৩। হোম পার্টিশান তৈরিঃ
- Free Space এ ক্লিক করুন।
- Add বাটনে ক্লিক করুন।
- New partition size in megabytes অংশে যা বাকী থাকে সেটাই রেখে দিন।
- Use As অংশে Ext4 সিলেক্ট করুন।
- Format the partition অংশে টিক দিন।
- Mount Point অংশে ” /home ” সিলেক্ট করুন।
- OK ক্লিক করুন।
৫.৩। সবকিছু ঠিকমত মত হয়ে গেলে পার্টিশান টেবিলে Free Space এর জায়গায় এখন / (রুট), swap (সোয়াপ), /home (হোম) – তিনটি পার্টিশন দেখাবে। পার্টিশন ব্যবস্থা আপনার মনমতো না হলে Back এ ক্লিক করে আবার নতুন করে পার্টিশন শুরু করতে পারেন। আর মনমতো হলে Install Now বাটনে ক্লিক করুন

৬। এবার ভৌগলিক অবস্থান ও সময় নির্বাচন করুন। পরের ধাপে যেতে Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৭। কিবোর্ড নির্বাচন করুন। বাই ডিফল্ট USA দেয়া থাকে, সাধারণত বাংলাদেশে আমরা এটাই ব্যবহার করি। তাই এটাই নির্বাচন করুন। Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৮। এবার আপনাকে কিছু তথ্য পূরণ করতে হবে। আপনি যে ইউজারনেম বা পাসওয়ার্ড নিয়ে লগিন করতে চান সেগুলো এখানে দেবেন। একদম নীচে দেখবেন যে লগিন করার তিনটি পদ্ধতি দেয়া আছে। প্রথমটিতে কোন পাসওয়ার্ড ছাড়াই লগিন করার জন্য, যেটা কিনা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। দ্বিতীয় অপশনটিতে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করার অপশন যা কিনা প্রথমটির চেয়ে সুরক্ষিত। আর তৃতীয় পদ্ধতিটি হল আপনার হোম ডিরেক্টরি (যেখানে আপনার সব ডাটা, তথ্য, ফাইল-টাইল ইত্যাদি থাকবে) এনক্রিপ্টেড থাকবে। এতে করে যদি আপনার হার্ডডিস্ক চুরিও হয়ে যায় আর চোর যদি পুরোনো উবুন্টু মুছে ফেলে নতুনভাবে উবুন্টু ইন্সটল করে তারপরও আপনার পাসওয়ার্ড না জানলে সে আপনার হার্ডডিস্কে ঢুকতে পারবেনা। তৃতীয় পদ্ধতিটিই সবচেয়ে কার্যকরী। নির্বাচন করা শেষ হয়ে গেলে Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৯। আপনার আগের অপারেটিং সিস্টেমের ইউজার ডেটাগুলো উবুন্টুতে ইম্পোর্ট করার নোটিশ দেখাবে। আপনি যদি ইম্পোর্ট করতে চান তবে টিক চিহ্ন দিন, নাহলে যেরকম আছে সেরকমই রেখে দিন।এবার Continue বাটনে ক্লিক করলেই উবুন্টু ইন্সটলেশান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ইন্সটলেশান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে একের পর এক উবুন্টুর পরিচিতিমূলক স্ক্রিনশট দেখতে পাবেন।

১০। ইন্সটলেশান শেষ হয়ে গেলে কম্পিউটার রিস্টার্ট করতে বলবে। Restart Now তে ক্লিক করুন।

১১। সিডি বের করে নিতে বলবে। সিডি বের করে নিয়ে Enter চাপুন।

১২। কম্পিউটার রিস্টার্ট হলে এবার নীচের মত একটি মেন্যু দেখবেন যেখানে আপনাকে অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন করার অপশন দেয়া হবে। একে বলা হয় “গ্রাব মেন্যু” বা শুধু “গ্রাব”। গ্রাবের সবচেয়ে নীচে উইন্ডোজ পাবেন। উবুন্টু সিলেক্ট করে Enter চাপলে আপনার পিসি উবুন্টুতে চালু হবে।









 

রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩

পার্টিশান করে

এই টিউটোরিয়ালটা হচ্ছে তাদের জন্য যারা কম্পিউটারে উইন্ডোজকে পুরোপুরি মুছে ফেলে পার্টিশান করে কেবল মাত্র উবুন্টুকে কম্পিউটারে ইন্সটল করতে চান। এই টিউটোরিয়াল অনুযায়ী উবুন্টু ইন্সটল করলে আপনার পিসির হার্ডডিস্ক পুরোপুরি ফর্ম্যাট হয়ে গিয়ে কেবলমাত্র উবুন্টু থাকবে, এবং উইন্ডোজ সম্পূর্নরূপে মুছে যাবে। শুধু তাই-না আপনার কম্পিউটারে থাকা সমস্ত তথ্য এবং ফাইল (ছবি, গান, সিনেমা, ডকুমেন্টস, সফটওয়্যার ইত্যাদি সবকিছুই) পুরোপুরি মুছে যাবে। তাই এই  টিউটোরিয়াল অনুসরণ করার আগে আপনার সমস্ত প্রয়োজনীয় ফাইল অন্য কোন হার্ডডিস্ক বা রিমুভেবল-মিডিয়া বা অন্য কোন কম্পিউটারে অবশ্যই অবশ্যই ব্যাকআপ করে রাখুন।ব্যাকআপ করা শেষ হলে পরে ইন্সটলেশানের পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

  • পার্টিশান সম্পর্কে পূর্ব ধারণাঃ
ক। আপনার কম্পিউটারে আগের সব পার্টিশান মুছে ফেলে নতুন করে তিনটি পার্টিশন করা হবে। এক ভাগ হচ্ছে রুটের জন্য, পরের ভাগ সোয়াপের জন্য আর শেষেরটা হচ্ছে হোমের জন্য। অর্থাৎ ভাগটা হবে নীচের ছবির মতঃ
এখনকার বেশিরভাগ হার্ডডিস্কই ১০০ গিগাবাইটের উপরে। তাই এরকম কোনো সিস্টেমে মোটামুটি ১০ গিগাবাইট থেকে ১৫ গিগাবাইট জায়গা রুটের জন্য রেখে, ১ গিগাবাইট জায়গা সোয়াপ পার্টিশনের জন্য রেখে বাকী অংশটুকু হোম পার্টিশনে জন্য বরাদ্দ করা উচিৎ। সোয়াপ পার্টিশনটি ভার্চুয়াল মেমরি হিসেবে কাজ করে। কোনো কারণে আপনার র‍্যাম পুরোপুরি ব্যবহৃত হয়ে পড়লে তখন ভার্চুয়াল মেমরি কাজ শুরু করে। আর হোম পার্টিশনে কিন্তু জায়গা তুলনামূলকভাবে বেশি দরকার কারণ হোম পার্টিশনেই আপনার প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট, ফাইল ইত্যাদি থাকবে। হোম পার্টিশনকে আলাদা করার কারণ হচ্ছে পরবর্তীতে উবুন্টুর অন্য কোনো রিলিজ বা অন্য কোন অপারেটিং সিস্টেম (যেমন লিনাক্স মিন্ট) কম্পিউটারে ইন্সটল করলে কেবল রুট পার্টিশনে ওভার রাইট হবে, হোম পার্টিশনে থাকা আপনার ডকুমেন্টে একটা আঁচড়ও পড়বে না।
খ। অনেকেই উইন্ডোজের ড্রাইভের নামের সাথে উবুন্টুর ড্রাইভগুলোর নামকে গুলিয়ে ফেলতে পারেন। উইন্ডোজে যেখানে C, D, E ইত্যাদি বর্ণ ব্যবহার করা হয় সেখানে উবুন্টুতে (তথা লিনাক্সে) ব্যবহার করা হয় sda1, sda5 ইত্যাদি। এ ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার করা দরকার। উবুন্টুতে যদি আপনি একটি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করেন তাহলে সেটার নাম দেখাবে sda, যদি দ্বিতীয় আরেকটি হার্ডডিস্ক সংযুক্ত করেন তবে সেটার নাম দেখাবে sdb এবং এভাবেই বাকীগুলোর নাম হবে sdc, sdd ইত্যাদি। ধরলাম আপনার কম্পিউটারে একটাই হার্ডডিস্ক রয়েছে (বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে একটি হার্ডডিস্কই থাকে)। তাহলে এই নিয়মানুসারে আপনার হার্ডডিস্কটির নাম হবে sda। এখন যদি হার্ডডিস্কটিকে দুটি পার্টিশান করা হয় তবে এর ভাগগুলো হবে sda1 ও sda5। যদি তিনটি পার্টিশন করেন তবে এর ভাগগুলো হবে যথাক্রমে sda1, sda5, sda6। যদি চারটি পার্টিশন করেন তবে এর ভাগগুলো হবে যথাক্রমে sda1, sda5, sda6, sda7। এভাবে বাকীগুলোর নামকরণ চলতে থাকে।
গ। সোজা কথায় উইন্ডোজে যেটা C ড্রাইভ উবুন্টুর সেটা sda1, উইন্ডোজে যেটা D ড্রাইভ উবুন্টুর সেটা sda5, উইন্ডোজে যেটা E ড্রাইভ উবুন্টুর সেটা sda6। ব্যাপারটা ভালোভাবে বোঝার জন্য নীচের টেবিলটাতে একটু চোখ বুলিয়ে নিন।
উইন্ডোজের ড্রাইভ উবুন্টুর ড্রাইভ
C drive sda1
D drive sda5 লক্ষ্য করুনঃ sda1 এর পর sda5 হচ্ছে
E drive sda6
F drive sda7
G drive sda8
H drive sda9 এভাবে বাকী ড্রাইভগুলোর নামকরণ চলতে থাকবে
  • উবুন্টু ইন্সটলেশানঃ    
 ১।  উবুন্টুর সিডি বা ইউএসবি স্টিক কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে কম্পিউটার বুট করুন। কম্পিউটারে উবুন্টু বুট হলে পরে নীচের মত স্ক্রিন পাবেন। যদি লাইভ সিডি চালিয়ে দেখতে চান তাহলে “Try Ubuntu” বাটনে ক্লিক করুন। যেহেতু আমরা ইন্সটল করতে চাইছি তাই “Install Ubuntu” বাটনে ক্লিক করব।

২। এবার আপনার সিস্টেম চেক করে দেখা হবে। পরের ধাপে যেতে Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৩। এবার ইন্সটলেশান টাইপ সিলেক্ট করতে হবে। আমরা চাচ্ছি নিজপদপর মত করে পার্টিশান সাজাতে। তাই “Something else” অপশনটা সিলেক্ট করুন। এতে করে উবুন্টু আপনার হার্ডডিস্ককে আপনার মত করে ফর্ম্যাট করার সুযোগ দিয়ে ইন্সটল হবার জন্য তৈরি হবে। Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৪। এবার পার্টিশন করার পালা। এই ধাপটা ইম্পর্ট্যান্ট। তাই খুব খেয়াল করে কাজ করুন। এধাপে প্রথমেই আপনার কম্পিউটারের বর্তমানের সব পার্টিশন একটা টেবিল হিসেবে নীচের ছবির মত করে দেখাবে। খেয়াল করুন নীচের ছবিতে টেবিলে দেখানো আছে যে কম্পিউটারে কেবল sda নামে একটা হার্ডডিস্কই আছে (/dev/sda কেবল দেখাচ্ছে কোন /dev/sdb ডিভাইস দেখাচ্ছে না)। sda এর নীচে চারটি পার্টিশন sda1, sda2, sda3, sda4 রয়েছে, যেগুলো ntfs ফর্ম্যাটের।


 ৫.১। প্রথমেই আগের সব পার্টিশন মুছে ফেলুন। দুইভাবে এ কাজটা করা যায়ঃ
৫.১.১। প্রথম পদ্ধতিতে, পার্টিশন টেবিল থেকে /dev/sda কে সিলেক্ট করে নীচের “New Partition Table” বাটনে ক্লিক করলেই সব পার্টিশন মুছে যাবে।
৫.১.২। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে, একটা একটা পার্টিশন সিলেক্ট করে করে মুছতে হবে। এজন্য যেকোন একটা পার্টিশন সিলেক্ট করুন (এখানে sda4 কে সিলেক্ট করা হল), তারপর টেবিলে নীচের ডিলিট বাটনে ক্লিক করুন। এবার দেখবেন নীচের ছবির মত sda4 এর জায়গায় “free space” কথাটা দেখাচ্ছে।
এবার দেখবেন নীচের ছবির মত sda4 এর জায়গায় “free space” কথাটা দেখাচ্ছে।
এভাবে একে একে বাকী সবগুলো পার্টিশন মুছে ফেলুন। এভাবে পার্টিশান মোছার সুবিধা হচ্ছে যে এতে করে আপনি যদি কোনো পার্টিশান মুছতে না চান, তবে সেটাকে সেভাবে রেখে দিতে পারেন। ধরুন আপনি উইন্ডোজের C ড্রাইভটিকে মুছতে চাননা, আপনি চান উইন্ডোজ ও উবুন্টু ডুয়েলবুট করতে, তাহলে sda1 ছাড়া অন্য পার্টিশানগুলো মুছে ফেলুন। কিংবা কেবল sda4 পারটিশানেই উবুন্টু ইন্সটল করবেন অন্যগুলো ফর্ম্যাট করতে চাননা, তাহলে কেবল sda4 কে ডিলিট করে বাকীগুলো যেভাবে আছে সেভাবে রেখে দিন।
তবে কাজের সুবিধার জন্য ধরে নিচ্ছি আপনি সমস্ত পার্টিশানই মুছে ফেলতে চান। উপরের নিয়মে সব পার্টিশান মোছা হয়ে গেলে নীচের ছবির মত পার্টিশন টেবিলে কেবল “free space” দেখতে পাবেন।
৫.২। এবার আমরা নতুন পার্টিশন তৈরি করব। আগেই বলেছি যে তিনটা পার্টিশন তৈরি করব। একটি রুট, একটি সোয়াপ এবং একটি হোম পার্টিশন।
৫.২.১। রুট পার্টিশান তৈরিঃ টেবিল থেকে “free space” সিলেক্ট করে Add বাটনে ক্লিক করুন। নিচের মত উইন্ডো পাবেন।
- New partition size in megabytes অংশে লিখুন 5000 (মানে ৫ গিগা) বা 10000 (মানে ১০ গিগা)। এখানে ১০গিগা জায়গা রুটের জন্য বরাদ্দ করা হল, ইচ্ছা করলে আপনি আরো জায়গা দিতে পারেন, তবে সাধারণ কাজের জন্য ১৫ গিগা’র বেশি জায়গা দরকার হয়না।
- Use As অংশে Ext4 সিলেক্ট করুন। (এটা হচ্ছে ফাইল ফরম্যাট। উইন্ডোজে যেমন ntfs সেরকম লিনাক্সে Ext4। তবে ইচ্ছা করলে অন্য যেকোনটি ব্যবহার করা যাবে। Ext4 লেটেস্ট বলে এখানে এটাতেই দেখানো হল।)
- Format the partition অংশে টিক দিন। (এতে করে আপনার পার্টিশন ফর্ম্যাট হবে।)
- Mount Point অংশে ” / ” সিলেক্ট করুন। (এর মানে হচ্ছে আপনি এই পার্টিশনটিকে রুটের জন্য নির্ধারণ করে দিচ্ছেন।)
- OK ক্লিক করুন।
৫.২.২। সোয়াপ পার্টিশান তৈরিঃ
- Free Space এ ক্লিক করুন।
- Add বাটনে ক্লিক করুন।
- New partition size in megabytes অংশে লিখুন 500 (৫০০মেগা) বা 1024 (১গিগা)
- Use As অংশে swap area সিলেক্ট করুন।
- OK ক্লিক করুন।
৫.২.৩। হোম পার্টিশান তৈরিঃ
- Free Space এ ক্লিক করুন।
- Add বাটনে ক্লিক করুন।
- New partition size in megabytes অংশে যা বাকী থাকে সেটাই রেখে দিন।
- Use As অংশে Ext4 সিলেক্ট করুন।
- Format the partition অংশে টিক দিন।
- Mount Point অংশে ” /home ” সিলেক্ট করুন।
- OK ক্লিক করুন।
৫.৩। সবকিছু ঠিকমত মত হয়ে গেলে পার্টিশান টেবিলে Free Space এর জায়গায় এখন / (রুট), swap (সোয়াপ), /home (হোম) – তিনটি পার্টিশন দেখাবে। পার্টিশন ব্যবস্থা আপনার মনমতো না হলে Back এ ক্লিক করে আবার নতুন করে পার্টিশন শুরু করতে পারেন। আর মনমতো হলে Install Now বাটনে ক্লিক করুন

৬। এবার ভৌগলিক অবস্থান ও সময় নির্বাচন করুন। পরের ধাপে যেতে Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৭। কিবোর্ড নির্বাচন করুন। বাই ডিফল্ট USA দেয়া থাকে, সাধারণত বাংলাদেশে আমরা এটাই ব্যবহার করি। তাই এটাই নির্বাচন করুন। Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৮। এবার আপনাকে কিছু তথ্য পূরণ করতে হবে। আপনি যে ইউজারনেম বা পাসওয়ার্ড নিয়ে লগিন করতে চান সেগুলো এখানে দেবেন। একদম নীচে দেখবেন যে লগিন করার তিনটি পদ্ধতি দেয়া আছে। প্রথমটিতে কোন পাসওয়ার্ড ছাড়াই লগিন করার জন্য, যেটা কিনা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। দ্বিতীয় অপশনটিতে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করার অপশন যা কিনা প্রথমটির চেয়ে সুরক্ষিত। আর তৃতীয় পদ্ধতিটি হল আপনার হোম ডিরেক্টরি (যেখানে আপনার সব ডাটা, তথ্য, ফাইল-টাইল ইত্যাদি থাকবে) এনক্রিপ্টেড থাকবে। এতে করে যদি আপনার হার্ডডিস্ক চুরিও হয়ে যায় আর চোর যদি পুরোনো উবুন্টু মুছে ফেলে নতুনভাবে উবুন্টু ইন্সটল করে তারপরও আপনার পাসওয়ার্ড না জানলে সে আপনার হার্ডডিস্কে ঢুকতে পারবেনা। তৃতীয় পদ্ধতিটিই সবচেয়ে কার্যকরী। নির্বাচন করা শেষ হয়ে গেলে Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৯। আপনার আগের অপারেটিং সিস্টেমের ইউজার ডেটাগুলো উবুন্টুতে ইম্পোর্ট করার নোটিশ দেখাবে। আপনি যদি ইম্পোর্ট করতে চান তবে টিক চিহ্ন দিন, নাহলে যেরকম আছে সেরকমই রেখে দিন।এবার Continue বাটনে ক্লিক করলেই উবুন্টু ইন্সটলেশান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ইন্সটলেশান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে একের পর এক উবুন্টুর পরিচিতিমূলক স্ক্রিনশট দেখতে পাবেন।

১০। ইন্সটলেশান শেষ হয়ে গেলে কম্পিউটার রিস্টার্ট করতে বলবে। Restart Now তে ক্লিক করুন।

১১। সিডি বের করে নিতে বলবে। সিডি বের করে নিয়ে Enter চাপুন।

১২। কম্পিউটার রিস্টার্ট হলে এবার নীচের মত একটি মেন্যু দেখবেন যেখানে আপনাকে অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন করার অপশন দেয়া হবে। একে বলা হয় “গ্রাব মেন্যু” বা শুধু “গ্রাব”। গ্রাবের সবচেয়ে নীচে উইন্ডোজ পাবেন। উবুন্টু সিলেক্ট করে Enter চাপলে আপনার পিসি উবুন্টুতে চালু হবে।

 

উবুন্টু ইন্সটলেশানঃ

১। এ টিউটোরিয়ালের জন্য আপনার কম্পিউটারে একাধিক পার্টিশন থাকতে হবে। একাধিক পার্টিশান না থাকলে এই পদ্ধতিতে কাজ করতে পারবেননা।
২। যে পার্টিশনে উবুন্টু ইন্সটল করতে চান উইন্ডোজে থেকে সেটাতে অন্তত ১০ গিগাবাইট ফাঁকা জায়গা বের করুন, তারপর সেটাকে ডিফ্র্যাগমেন্ট করুন। খুব ভালো হয় যদি ১০ গিগাবাইট বা তার চেয়ে বড় একটা পার্টিশনকে পুরোপুরি খালি করে ফর্ম্যাট করে ফেলতে পারেন। এক্ষেত্রে পার্টিশন নির্বাচন করার জন্য C: ড্রাইভকে এড়িয়ে চলুন,অর্থাৎ ভুলেও C: কে উবুন্টু ইন্সটল করার পার্টিশন হিসেবে নেবেন না।
৩। ডিফ্র্যাগমেন্ট করা শেষ হয়ে গেলে, উবুন্টুর সিডি বা ইউএসবি স্টিক কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে কম্পিউটার বুট করুন।
৪। কম্পিউটারের বুট মেনু থেকে প্রয়োজনমত সিডি-ড্রাইভ বা ইউএসবি-ড্রাইভকে ফার্স্ট বুট ডিভাইস হিসেবে সিলেক্ট করুন। (যদি আগে থেকে করা না থাকে)।
সব যদি ঠিকঠাকমত করে থাকেন তাহলে চলুন শুরু করি উবুন্টু ইন্সটলেশান।
  • উবুন্টু ইন্সটলেশানঃ
১। উবুন্টুর সিডি বা ইউএসবি স্টিক কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে কম্পিউটার বুট করুন। কম্পিউটারে উবুন্টু বুট হলে পরে নীচের মত স্ক্রিন পাবেন। যদি লাইভ সিডি চালিয়ে দেখতে চান তাহলে “Try Ubuntu” বাটনে ক্লিক করুন। যেহেতু আমরা ইন্সটল করতে চাইছি তাই “Install Ubuntu” বাটনে ক্লিক করব।

২। এবার আপনার সিস্টেম চেক করে দেখা হবে। পরের ধাপে যেতে Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৩। এবার ইন্সটলেশান টাইপ সিলেক্ট করতে হবে। আমরা চাচ্ছি সব কিছু মুছে ফেলতে। তাই “Install Ubuntu alongside Windows” অপশনটা সিলেক্ট করুন। এতে করে উবুন্টু নিজেই আপনার হার্ডডিস্ক থেকে যে পার্টিশনে নিরবিচ্ছিন্ন ফাঁকা জায়গা পাবে সেখানেই ফাঁকা জায়গা বের করে সেটাকে ফর্ম্যাট করে ইন্সটলেশানের কাজ শুরু করবে। (এই ফাঁকা জায়গাটা বের করার জন্যই পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আমরা ১০ গিগা জায়গা খালি করেছিলাম, আর ফাঁকা জায়গাটা যতটুকু সম্ভব নিরবিচ্ছিন্ন করার জন্যই ডিফ্র্যাগমেন্ট করেছিলাম।) Install Now এ ক্লিক করুন।
৪। এবার ভৌগলিক অবস্থান ও সময় নির্বাচন করুন। পরের ধাপে যেতে Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৫। কিবোর্ড নির্বাচন করুন। বাই ডিফল্ট USA দেয়া থাকে, সাধারণত বাংলাদেশে আমরা এটাই ব্যবহার করি। তাই এটাই নির্বাচন করুন। Continue বাটনে ক্লিক করুন।
৬। এবার আপনাকে কিছু তথ্য পূরণ করতে হবে। আপনি যে ইউজারনেম বা পাসওয়ার্ড নিয়ে লগিন করতে চান সেগুলো এখানে দেবেন। একদম নীচে দেখবেন যে লগিন করার তিনটি পদ্ধতি দেয়া আছে। প্রথমটিতে কোন পাসওয়ার্ড ছাড়াই লগিন করার জন্য, যেটা কিনা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। দ্বিতীয় অপশনটিতে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করার অপশন যা কিনা প্রথমটির চেয়ে সুরক্ষিত। আর তৃতীয় পদ্ধতিটি হল আপনার হোম ডিরেক্টরি (যেখানে আপনার সব ডাটা, তথ্য, ফাইল-টাইল ইত্যাদি থাকবে) এনক্রিপ্টেড থাকবে। এতে করে যদি আপনার হার্ডডিস্ক চুরিও হয়ে যায় আর চোর যদি পুরোনো উবুন্টু মুছে ফেলে নতুনভাবে উবুন্টু ইন্সটল করে তারপরও আপনার পাসওয়ার্ড না জানলে সে আপনার হার্ডডিস্কে ঢুকতে পারবেনা। তৃতীয় পদ্ধতিটিই সবচেয়ে কার্যকরী। নির্বাচন করা শেষ হয়ে গেলে Continue বাটনে ক্লিক করুন।

৭। আপনার আগের অপারেটিং সিস্টেমের ইউজার ডেটাগুলো উবুন্টুতে ইম্পোর্ট করার নোটিশ দেখাবে। আপনি যদি ইম্পোর্ট করতে চান তবে টিক চিহ্ন দিন, নাহলে যেরকম আছে সেরকমই রেখে দিন।

এবার Continue বাটনে ক্লিক করলেই উবুন্টু ইন্সটলেশান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ইন্সটলেশান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে একের পর এক উবুন্টুর পরিচিতিমূলক স্ক্রিনশট দেখতে পাবেন।
৮। ইন্সটলেশান শেষ হয়ে গেলে কম্পিউটার রিস্টার্ট করতে বলবে। Restart Now তে ক্লিক করুন।
৯। সিডি বের করে নিতে বলবে। সিডি বের করে নিয়ে Enter চাপুন।
১০। কম্পিউটার রিস্টার্ট হলে এবার নীচের মত একটি মেন্যু দেখবেন যেখানে আপনাকে অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন করার অপশন দেয়া হবে। একে বলা হয় “গ্রাব মেন্যু” বা শুধু “গ্রাব”। গ্রাবের সবচেয়ে নীচে উইন্ডোজ পাবেন। উবুন্টু সিলেক্ট করে Enter চাপলে আপনার পিসি উবুন্টুতে চালু হবে।

ব্যস আপনার উবুন্টু ইন্সটল করা শেষ।

শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৩

অধ্যায় ০ – নবীনদের জন্য উবুন্টুর বেসিক
  • উবুন্টুর সাথে লিনাক্সের সম্পর্ক কি?
  • উবুন্টুর জন্ম কাহিনী
  • কেন উবুন্টু?
  • উবুন্টুর বিভিন্ন রকমফের (কুবুন্টু, জুবুন্টু, লুবুন্টু)
অধ্যায় ১ – উবুন্টু’র সিডি ব্যবহার
  • সিডি সংগ্রহ
  • সিডি বার্ন করা
  • বুটেবল ইউএসবি তৈরি করা
  • লাইভ সিডি’র ব্যবহার
অধ্যায় ২ – উবুন্টু ইন্সটলেশান পদ্ধতি
  • পদ্ধতি ১ — উবি দিয়ে ইনস্টলেশন
  • পদ্ধতি ২ — কোনো পার্টিশান তৈরি না করে সরাসরি ইনস্টলেশন
  • পদ্ধতি ৩ — কোনো পার্টিশান তৈরি না করে ডুয়েল বুট ইনস্টলেশন
  • পদ্ধতি ৪ — পার্টিশান তৈরি করে সরাসরি ইনস্টলেশন
  • পদ্ধতি ৫ — পার্টিশান তৈরি করে ডুয়েল বুট ইনস্টলেশন
অধ্যায় ৩ – উবুন্টুর সাথে পরিচয়
  • ডেস্কটপ পরিচিতি
  • উবুন্টুর ফাইল স্ট্রাকচার
  • টার্মিনালের ব্যবহার
অধ্যায় ৪ – উবুন্টু ইন্সটলেশানের পরবর্তী কাজ
  • উবুন্টু ইনস্টলের  পর অবশ্য-করণীয় কিছু কাজ
  • সফটওয়্যার ইনস্টলেশন বিভিন্ন পদ্ধতি
  • অফলাইনে সফটওয়্যার ইনস্টলেশন
  • বাংলায় লেখালেখি করা
  • ল্যাম্প (LAMP) ইনস্টলেশন
  • অনান্য

বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৩

লিনাক্স এবং উবুন্টু!

উবুন্টু জগতে যারা একেবারে নতুন কিংবা যারা উবুন্টুর কোন সহজ ব্যবহারবিধি খুঁজছেন অথবা যারা উবুন্টু নিয়ে বিভিন্ন কথা-বার্তা শুনে জিনিসটা কী সেটা নিয়ে উৎসুক – তাদের জন্য একটা ছোট্ট উদ্যোগ। প্রতি ছয়মাস পর পর উবুন্টুর নতুন ভার্সন বের হয় বিধায় কেবলমাত্র “লং টার্ম সাপোর্ট” বা এলটিএস রিলিজগুলোর (যে রিলিজগুলো ডেস্কটপে তিন বছর ও সার্ভারে পাঁচ বছর সাপোর্ট পায়) উপর ভিত্তি করেই লেখাগুলো লেখা হয়েছে। উল্লেখ্য যে এলটিএস রিলিজগুলো দু’বছর পরপর বের হয়। বর্তমানে যে এলটিএস রিলিজটি এখানে ব্যবহার করা হয়েছে সেটি হচ্ছে উবুন্টু ১২.০৪ (কোডনেম – প্রিসাইজ প্যাঙ্গলিন)।


 অধ্যায় ০ – নবীনদের জন্য উবুন্টুর বেসিক


লিনাক্স এবং উবুন্টু!

  যারা নতুন নতুন লিনাক্সে আসতে চান বা চিরদিন চারদিকে রেডহ্যাট লিনাক্সের নাম শুনে হঠাৎ করেই উবুন্টুর নাম শোনেন, তাদের অনেকেই বুঝতে পারেননা যে লিনাক্স আর উবুন্টুর মধ্যে সম্পর্কটা কি। উবুন্টু কি লিনাক্সের কোনো ভার্সন? যেমন উইন্ডোজের ক্ষেত্রে এক্সপি, ভিসতা বা সেভেন? নাকি উবুন্টুই লিনাক্স? যদি উবুন্টুই লিনাক্স হয় তাহলে রেড হ্যাট লিনাক্স কি জিনিস? ওটাওতো লিনাক্স? ওটা কি লিনাক্সের আলাদা ভার্সন?— এরকম হাজারো প্রশ্নের ভীড়ে তারা খাবি খেতে থাকেন। যারা এভাবে খাবি খেতে খেতে পেট ভর্তি করে ফেলেছেন তারা একটু মনযোগ দিয়ে এই লেখাটা পড়ুন, আশাকরি এরপর থেকে কেবল খাবি খেয়েই আর পেট ভর্তি করতে হবেনা!

প্রথম এবং শেষ কথা হচ্ছে লিনাক্স কোন অপারেটিং সিস্টেম না। কী ভড়কে গেলেন? এতদিন সবখানে পড়ে এসেছেন, জেনে এসেছেন, শুনে এসেছেন যে উইন্ডোজের মত লিনাক্সও একটা অপারেটিং সিস্টেম; আর আজকে আমার মত এক চুনোপুটি কিনা বলছে যে লিনাক্স কোন অপারেটিং সিস্টেম না! আসলেই ব্যাপারটা তাই। লিনাক্স কোন অপারেটিং সিস্টেম না। প্রত্যেকটা অপারেটিং সিস্টেমের একটা “প্রাণ ভোমরা” থাকে যা কিনা ঐ অপারেটিং সিস্টেমের মূল অংশ। লিনাক্স হচ্ছে সেই “প্রাণ ভোমরা”। এই প্রাণ ভোমরাকে বলা হয় “কার্নেল“, যা কিনা কোন অপারেটিং সিস্টেমের কেন্দ্রীয় অংশ, যা বিভিন্ন এ্যাপ্লিকেশন ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এবং যাকে ছাড়া কোন অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ লিনাক্স হচ্ছে আসলে কার্নেল। প্রত্যেকটা অপারেটিং সিস্টেমেই এই কার্নেল জিনিসটা থাকে। উইন্ডোজ বা ম্যাকেও কার্নেল আছে। উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা বা সেভেনের কার্নেলের নাম এনটি (NT); ম্যাক ওএস এর কার্নেলের নাম এক্সএনইউ (XNU)। কার্নেলের সাথে বিভিন্ন এ্যাপ্লিকেশন ও প্রোগ্রাম যোগ করে বানানো হয় অপারেটিং সিস্টেম। সহজ ভাষায় বললে,

কার্নেল + (এ্যাপ্লিকেশন, প্রোগ্রাম, সফটওয়ার ইত্যাদি) = অপারেটিং সিস্টেম
যেমন লিনাক্স কার্নেলের সাথে গ্নোম, ওপেন অফিস, গিম্প, টোটেম মুভি প্লেয়ার, রিদমবক্স অডিও প্লেয়ার ইত্যাদি অনেক এ্যাপ্লিকেশন ও সফটওয়্যার যোগ করে উবুন্টু নামের অপারেটিং সিস্টেম বানানো হয়েছে। তাই সহজভাবে বললে:
লিনাক্স কার্নেল + (গ্নোম + ওপেন অফিস + গিম্প + টোটেম মুভি প্লেয়ার + রিদমবক্স অডিও প্লেয়ার + পিটিভি ভিডিও এডিটর + গেমস + আরো অনেক কিছু) =

 উইন্ডোজের কার্নেল বিনাপয়সায় পাওয়া তো যায়ই না এমনকি টাকা খরচ করলেও মাইক্রোসফট থেকে পাওয়া যায়না। তাই কেউ ইচ্ছা করলেই উইন্ডোজের কার্নেলের সাথে বিভিন্ন সফটওয়ার জুড়ে দিয়ে নিজের মত কোন অপারেটিং সিস্টেম বানাতে পারেনা। ফলে মাইক্রোসফট ছাড়া আর কেউ উইন্ডোজ কার্নেলের উপর নির্মিত কোন অপারেটিং সিস্টেম বানাতে পারেনা। অন্য দিকে লিনাক্স কার্নেল বিনা পয়সায় পাওয়া যায়, তাই যে কেউ সেটার সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রাম জুড়ে দিয়ে একটা অপারেটিং সিস্টেম বানাতে পারে। শুধু তাই না ইচ্ছা করলে সেই কার্নেলকে আপনি আপনার মত পরিবর্তন করে ব্যবহার করতে পারবেন। তাই দেখা যায় বিভিন্ন ব্যাক্তি/কম্পানি লিনাক্স কার্নেল দিয়ে নিজেদের মত করে অপারেটিং সিস্টেম বানায়। যেমন রেড হ্যাট কোম্পানি লিনাক্স কার্নেল ব্যবহার করে যে অপারেটিং সিস্টেম বানায় সেটার নাম রেডহ্যাট লিনাক্স। ক্যানোনিকাল লিনাক্স ব্যবহার করে যে অপারেটিং সিস্টেম বানায় তার নাম উবুন্টু। নভেল লিনাক্স দিয়ে বানায় স্যুযে। লিনাক্সের উপর নির্ভর করে বানানো এরকম আরো অনেক অপারেটিং সিস্টেম পাওয়া যায়। রেডহ্যাট, উবুন্টু বা স্যুযে প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা স্বয়ংসম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম। এদের মধ্যে মিল হচ্ছে এদের কার্নেলটা একই, সেটা হল লিনাক্স। তাই এসব অপারেটিং সিস্টেমকে বলা হয় “লিনাক্স-বেজড অপারেটিং সিস্টেম”, তবে সংক্ষেপে এদেরকে সাধারণভাবে “লিনাক্স”ও বলা হয়ে থাকে। তাই লিনাক্স দিয়ে আসলে কোন অপারেটিং সিস্টেমকে বোঝায়না বরং একধরনের বিশেষ অপারেটিং সিস্টেমের গ্রুপকে বোঝায় যাদের কার্নেলের উৎস একই। অনেক সময় এদেরকে “লিনাক্স ডিস্ট্রো”ও বলা হয়। কারণ লিনাক্স বেজড অপারেটিং সিস্টেমগুলো সাধারণত ফুল-প্যাকড হয়েই আসে, অর্থাৎ লেখালেখি করার জন্য সম্পূর্ণ অফিস স্যুট, আঁকাআঁকি করার সফটওয়ার, অডিও-ভিডিও সফটওয়ারসহ একজন ব্যবহারকারির দরকারী প্রায় সব সফটওয়ারই আগে থেকেই প্যাকড হয়ে আসে, ফলে উইন্ডোজের মত অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করার পর লেখালেখি করার জন্য এমএসঅফিস ইন্সটল করতে হয়না। তাছাড়া অনেকগুলো লিনাক্স বেজড অপারেটিং সিস্টেম আবার নির্দিষ্ট ধরনের কোন ব্যবহারকারীর চাহিদামত সফটওয়ার যুক্ত করে বানানো হয় যেমন সায়েন্টিফিক লিনাক্স, ফেডোরা ইলেক্ট্রনিক ল্যাব ইত্যাদি। নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে কাদেরকে লক্ষ্য করে এগুলো বানানো হয়েছে। তাই লিনাক্স-বেজড অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে “লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন” বা “লিনাক্স ডিস্ট্রো” বা সংক্ষেপে শুধু “ডিস্ট্রো” বলা হয়ে থাকে। এরকম আরো কিছু ডিস্ট্রো হচ্ছে- ডেবিয়ান, ফেডোরা, ম্যানড্রিভা, স্যুযে, ওপেন স্যুযে, নপিক্স, সেন্টওএস ইত্যাদি ইত্যাদি। লিনাক্স ডিস্ট্রগুলোর কথা আরো জানতে  উইকিপিডিয়ায় দেখতে পারেন।


লিনাক্সভিত্তিক এই অপারেটিং সিস্টেমের সবগুলোই কিন্তু উবুন্টুর মত একেবারে ফ্রি বা বিনাপয়সায় পাওয়া যায়না। যেমন রেডহ্যাট লিনাক্স ও স্যুযের কথাই ধরা যাক- এগুলো কিন্তু টাকা দিয়ে কিনতে হয়। তবে হোম ইউজারদের জন্য রেডহ্যাট লিনাক্সের একটা বিনাপয়সার ভার্সন আছে- তার নাম ফেডোরা। সাধারণত রেডহ্যাট কোম্পানী তাদের রেডহ্যাট লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ফেডোরাকে টেস্টবেড হিসেবে ব্যবহার করে। এর মানে হচ্ছে রেডহ্যাট কম্পানি নতুন নতুন সফটওয়্যারগুলো প্রথমেই রেডহ্যাট লিনাক্সে না দিয়ে আগে ফেডোরাতে দেয়, তারপর ব্যবহারকারিদের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ-মতামতের ভিত্তিতে পরে রেডহ্যাট লিনাক্সে সেগুলোকে যোগ করা হয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ফেডোরা হচ্ছে অনেকটা গিনিপিগের মত, যার উপর বিভিন্ন পরীক্ষা চালিয়ে স্বিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে রেডহ্যাট লিনাক্সকে কিভাবে কি করা হবে। রেডহ্যাটলিনাক্স ও ফেডোরা একই কম্পানির তৈরি হলেও এরা দুটি ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম। ঠিক একইভাবে নভেল কম্পানির ক্ষেত্রে স্যুযের টেস্টবেড ভার্সন ওপেন স্যুযে বিনাপয়সায় ব্যবহারের জন্য পাওয়া যায়।

উবুন্টু কি লিনাক্সের কোনো ভার্সন? যেমন উইন্ডোজের ক্ষেত্রে এক্সপি, ভিসতা বা সেভেন?
– না, উবুন্টু লিনাক্সের কোনো ভার্সন না। উইন্ডোজের যেমন আলাদা আলাদা ভার্সন আছে, তেমনি উবুন্টুরও আলাদা আলাদা ভার্সন আছে (যেমন, জন্টি, কারমিক, ল্যুসিড)।
নাকি উবুন্টুই লিনাক্স?
– উবুন্টু হচ্ছে লিনাক্স কার্নেলকে ভিত্তি করে বানানো একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম।
যদি উবুন্টুই লিনাক্স হয় তাহলে রেড হ্যাট লিনাক্স কি জিনিস? ওটাওতো লিনাক্স? ওটা কি লিনাক্সের আলাদা ভার্সন?
–  উবুন্টু হচ্ছে লিনাক্স বেজড একটি অপারেটিং সিস্টেম। রেডহ্যাট ও উবুন্টুর মত আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম যা কিনা লিনাক্স কার্নেলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। রেড হ্যাট বা উবুন্টু কোনটাই লিনাক্সের আলাদা কোন ভার্সন না। এদের প্রস্তুতকারক কম্পানিও ভিন্ন।

আশাকরি লিনাক্স-উবুন্টু-রেডহ্যাট এইসব নিয়ে যেই খাবিগুলো এতদিন অযথা খেয়ে এসেছেন এবার তার অবসান হয়েছে।

^ Back to Top