Welcome text

নয়াদিল্লি: প্রিপেড গ্রাহকদের জন্য আনলিমিটেড কলের সুবিধা চালু করল ভারতী এয়ারটেল। আজ থেকে এয়ারটেলের গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবেন। এর মূল্য ধার্য হয়েছে ৭ টাকা। ৭ টাকার বিনিময়ে এই সুবিধা মধ্যরাত থেকে সকাল ছটা পর্যন্ত পাবেন গ্রাহকরা। কোম্পানির পক্ষ থেকে এই বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। ১২৯ ডায়াল করে এই সুবিধা অ্যাক্টিভেট করতে পারবেন গ্রাহকরা। কোম্পানি ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফেসবুক অ্যাকসেস ফ্রি করেছে। এয়ারটেলের ঘোষণা অনুযায়ী, রাতের জন্য এই আনলিমিটেড কলের সুবিধার মাধ্যমে তাদের প্রিপেড গ্রাহকরা মাত্র ৭ টাকায় লোকাল এয়ারটেল ফোনে মধ্যরাত ১২ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত যতখুশি কথা বলতে পারবেন।একইসঙ্গে এয়ারটেলের এই নাইট স্টোর অনুসারে, গ্রাহকরা মাত্র ৮ টাকায় আনলিমিটেড ২ জি ইন্টারনেট পরিষেবাও পাবেন। কথা বলা ও ইন্টারনেটে- দুটি সুবিধা একত্রে ১৫ টাকায় পাবেন গ্রাহকরা। কোম্পানি জানিয়েছে, কলকাতা,গুজরাত,মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ (পূর্ব),হরিয়ানা,কেরল,পঞ্জাব,ওড়িশায় এয়ারটেল প্রিপেড গ্রাহকরা লোকাল এয়ারটেল ফোনে আনলিমিটেড কল তথা মোবাইল ইন্টারনেট সুবিধা ৯ টাকায় পাবেন। কোম্পানির রাত্রিকালীন ৫০০ এমবি থ্রিজি পরিষেবা ২৯ টাকায় এবং ১ জিবি ৪৯ টাকায় পাবেন গ্রাহকরা।

মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৩

উবুন্টুর ফাইল

ফাইল হায়ারার্কি বা ডিরেক্টরির বেসিক দিয়েই শুরু করি। উইন্ডোজে ডিরেক্টরিগুলোকে ব্যাকস্ল্যাশ (\) দিয়ে লেখা হয় যেখানে উবুন্টুতে লেখা হয় স্ল্যাশ (/) দিয়ে। ধরুন আপনি Bangladesh ফোল্ডারের ভেতর রাখা Dhaka ফোল্ডারের Munsigonj ফাইলটিতে যাবেন। এই পুরো ব্যাপারটাকে উইন্ডোজে লেখা হয় নিচের মত করে:
Bangladesh\Dhaka\Munsigonj
ঠিক একই জিনিস উবুন্টুতে লেখা হয় নিচের মত করে:
Bangladesh/Dhaka/Munsigonj
অর্থাৎ স্ল্যাশ আর ব্যাকস্ল্যাশের পার্থক্য। উপরের উদাহরণে ফাইলগুলেকে গাছের শিকড়ের সাথে তুলনা করলে এর মূল বা গোড়া বা রুট হচ্ছে Bangladesh, এর ভেতরে অন্যান্য ফাইলগুলো রয়েছে। গোড়া বা রুট Bangladesh থেকেই যাত্রা শুরু করে অন্যান্য ফাইলে যেতে হবে। অর্থাৎ সহজ কথায়, ব্যাপারটাকে নিচের ছবির মত বলা যায়:

উপরের এই ছবিটিকেই বলা হয় ফাইল হায়ারার্কি। ফাইল হায়ারার্কি থেকেই বোঝা যায় কোন ফাইলের অবস্থান কোথায়। যেমন এথেকে বোঝা যায় যে Munsigonj ডিরেক্টরিতে যেতে কোন পথে যেতে হবে। একে তাই ডিরেক্টরি এড্রেস ও বলা হয়।
  • উইন্ডোজ বনাম উবুন্টুঃ
ধরুন উইন্ডোজে ফায়ারফক্স চালু করবেন আপনি। তো কি করবেন? প্রথমেই Start মেন্যু থেকে My Computer এ যাবেন, তারপর C: ড্রাইভে গিয়ে Program Files এ ঢুকে Mozilla Firefox ফোল্ডার থেকে firefox ফাইলটা ডাবল ক্লিক করে ওপেন করবেন। পুরো ব্যাপারটাকে নীচের মত করে লেখা যায়:
C:\\Program Files\Mozilla Firefox\firefox
আপাত দেখে মনে হতে পারে যে মূল বা রুট হওয়া উচিত My Computer যেহেতু ওখান থেকেই সব ড্রাইভে যাওয়া যাচ্ছে। আসলে ব্যাপার সেটা না, My Computer হচ্ছে একটা শর্টকাট যেটা আপনাকে এক লাফে বিভিন্ন পার্টিশন ও ডিভাইস যেখানে আছে সেখানে নিয়ে আসবে। তাই উপরের লাইন অনুসারে উইন্ডোজের রুট C: হবার কথা। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যদি আরো পার্টিশন থঅকে অর্থাৎ D: E: এসব ড্রাইভও থাকে তাহলে কি হবে? সহজভাবে বললে বলা যায় যে প্রতিটার জন্য আলাদা আলাদা রুট থাকবে। অর্থাৎ উইন্ডোজে ফাইলগুলো পার্টিশনের সংখ্যানুযায়ী অনেক গাছে বিভক্ত থাকতে পারে, প্রতিটা গাছের রুট আবার ভিন্ন।
আর উবুন্টুতে ফায়ারফক্স ওপেন করতে হলে যেটা করতে হবে সেটা হল লঞ্চার থেকে Home Folder এ গিয়ে Filesystem এ ঢুকে usr ফোল্ডারে অবস্থিত lib ফোল্ডারে গিয়ে firefox ফোল্ডারের firefox.sh এ ডাবল ক্লিক করতে হবে। উবুন্টুর পুরো ব্যাপারটাকে সাজানো যায় নিচের মত করে করে:
/usr/lib/firefox/firefox.sh
এখানে Home Folder আসলে একটা শর্টকাট হিসেবে কাজ করছে, যা কিনা ব্যবহারকারীকে রুটের কাছে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। তাহলে রুট কই? Filesystem নামে যে ড্রাইভটা দেখা যায় সেটাই আসলে রুট হিসেবে কাজ করছে এখানে। উপরের ডিরেক্টরির এড্রেসে যে একদম শুরুতেই usr এর আগে যে স্ল্যাশ (/) দেখা যাচ্ছে সেটা দিয়েই রুট বোঝানো হচ্ছে। অর্থাৎ “/usr/lib” মানে হচ্ছে “রুটের মধ্যে usr নামে ফোল্ডার আছে, তার ভেতরে রয়েছে lib ফোল্ডার”। লিনাক্সে রুট একটাই থাকে।
তারমানে আপনি যখন Filesystem এ আসেন তখন আসলে আপনি উবুন্টুর রুটে চলে আসেন। এই রুটের মধ্যেই সিস্টেম ফাইল থেকে শুরু করে ব্যবহারকারীর ব্যাক্তিগত ফাইল অর্থাৎ উবুন্টুর সব কিছু থাকে। রুটে গেলে অনেকগুলো ফোল্ডার দেখবেন। নিচে সেই ফোল্ডারগুলোর একটা হায়ারার্কি দেয়া হল:
  • রুট এবং এর ডিরেক্টরিগুলোঃ
উবুন্টুর (এবং লিনাক্সের) সব ফোল্ডার আর ফাইলের গোড়া হচ্ছে রুট (root)। রুট থেকেই সব ফাইলে বা ফোল্ডারে যেতে হয়। সাধারণত উইন্ডোজের C: ড্রাইভে গেলে বড়জোর চার পাঁচটা ফোল্ডার দেখা যায় যেখানে উবুন্টুতে রুটের ভেতর একগাদা ফোল্ডার দেখা যায়। উইন্ডোজের C: ড্রাইভে যেমন Program Files আর Windows ডিরেক্টরি দুটোর কাজ ভিন্ন তেমনি উবুন্টুতেও রুটের ভেতর থাকা এত্তোগুলো ডিরেক্টরির (ফোল্ডার) কাজও কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন। আসুন তাহলে দেখে নিই কোনটার কি কাজ:
/bin
এখানে লিনাক্সের মূল কমান্ডগুলো (বিশেষ করে টার্মিনালের কমান্ডগুলো) থাকে, যেগুলো সকল লিনাক্স ডিস্ট্রোতে তো একই, বরং অন্যান্য POSIX ওএসেও (যেমন: সোলারিস, বিএসডি, প্রভৃতি) একই।
/boot
এখানে থাকে কম্পিউটার কীভাবে লিনাক্সকে বুট করবে সে সম্পর্কিত ফাইল/ফোল্ডার।
/cdrom
এখানে আপনার সিডি/ডিভিডি ড্রাইভে প্রবেশ করানো ডিস্কটির সমস্ত ফাইলে এ্যাক্সেস করতে পারবেন।
/dev
এখানে থাকে ডিভাইস ফাইলসমূহ। মানে এটাকে হার্ডওয়্যার ড্রাইভার গুদামও বলা যায়।
/etc
এখানে থাকে বিভিন্ন এপ্লিকেশনের কনফিগারেশন ফাইলসমূহ। এটাকে উইন্ডোজ রেজিস্ট্রির সাথে তুলনা করা যায়।
/home
এটাই হচ্ছে ইউজারদের নিজস্ব এলাকা। প্রত্যেক ইউজারের আলাদা ফোল্ডার থাকবে এখানে সেই ইউজারের নামে। যখনই কোন ইউজার লগইন করে মেশিনে, শুধু এখানেই তার যা কিছু করার অধিকার থাকে। এর বাইরে কিছু করতে হলে হয় এডমিন হতে হবে, নয়তো এডমিনের পারমিশন লাগবে।
/lib
এখানে থাকে সফটওয়্যার চালানোর জন্য বিভিন্ন লাইব্রেরি। এটাকে উইন্ডোজের ডিএলএল ফাইলের ভাণ্ডার বলা যেতে পারে।
/lost+found
এ ফোল্ডারে হারিয়ে যাওয়া ফাইল থাকে। কোন কারণে যদি সিস্টেম ফেইল করে বা ফাইল সেভ করতে না পারে। পরবর্তী বুটের সময় সেটা রিকভারের চেষ্টা করা হয়। সেই সময়ে কিছু পেলে এই ফোল্ডারে সেগুলো রাখা হয়।
/media
উবুন্তুতে এক্সটার্নাল সকল ডিভাইস এই ফোল্ডারে মাউন্ট হয়। তবে হার্ডডিস্কে একাধিক পার্টিশন থাকলে সেগুলোও এখানে মাউন্ট হয়। সাধারণত ইনস্টলের সময় যদি পার্টিশনগুলো থাকে উবুন্তু স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলো এখানে মাউন্ট করে এবং Places ও ডেস্কটপে শর্টকাট আইকনও তৈরী করে। অন্যান্য প্লাগ এন প্লে ডিভাইস অটোমাউন্ট হয় এবং যথারীতি আইকন দেখায়।
/mnt
এটা আগে /media র কাজ করত। অন্যান্য লিনাক্সে এখনও করে। তবে উবুন্তু এখানে কিছু করে না। /mnt -র চাইতে /media টা বেশি ভালো শোনা, তাই না?
/opt
এখানে অনেক ইনস্টলার প্রোগ্রাম ইনস্টল করে।
/proc
এখানে কিছু ডাইন্যামিক ফাইল থাকে। যা হার্ডওয়্যার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। প্রোগ্রামারদের জীবন সহজ করার জন্য এখানে বেশ সহজ কিছু ফাইল পাওয়া যায়। যা পড়তে গেলে ডাইন্যামিক্যালি হার্ডওয়্যার ডাটা দেখায়। যেমন – নিচের কমান্ডটা প্রসেসরের ইনফরমেশন দেখাবে।
cat /proc/cpuinfo
/root
লিনাক্সে একজন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ইউজার থাকে। এই মহামান্য ইউজারের নাম root। এই ইউজার এই কম্পিউটারের যেকোন রকম পরিবর্তন করতে সক্ষম। অর্থাৎ এই কম্পিউটার ধ্বংস করার ক্ষমতাও তার হাতে। সুতরাং উবুন্তুতে এই ইউজারকে অক্ষম করে রাখা হয়েছে। আর এই ফোল্ডারটা তার হোম ফোল্ডার, ঠিক যেমনটা অন্যান্য ইউজারদের জন্য /home/USERNAME
/sbin
bin ফোল্ডারটির মত এখানেও লিনাক্সের মূল কমান্ডগুলো থাকে, বিশেষ করে সুপার ইউজারের কমান্ডগুলো।
/selinux
এ ফোল্ডারে লিনাক্স সিকিউরিটি সিস্টেম selinux এর কনফিগারেশন থাকে। এই selinux সিস্টেমে ইনস্টলকৃত প্রোগ্রামগুলোর পারমিশন, সিকিউরিটি প্রভৃতি ঠিক করে দেয়।
/srv
এ ফোল্ডারটি হচ্ছে ওয়েব সার্ভারের জন্য। অনেকটা /var/www যে কাজ করে সেটাই।
/sys
নামেই বোঝা যাচ্ছে এটা সিস্টেম ফোল্ডার।
/tmp
এখানে সকল প্রকার টেম্পোরারী ফাইল বা ক্যাশ থাকে।
/usr
এখানে সকল এপ্লিকেশন থাকে। অনেকটা উইন্ডোজের প্রোগ্রাম ফাইলস ফোল্ডারের মত। তবে এখানে আরও অনেক কিছুই থাকে, যেমন প্রোগ্রামারদের জন্য সহায়তাকারী ফাইল, লাইব্রেরী প্রভৃতি। মজার ব্যাপার হলো লিনাক্সের সোর্স কোডও এই ডিরেক্টরিতে পাওয়া যাবে src ফোল্ডারের ভেতর। উইন্ডোজে এই সোর্স ফোল্ডারটা পাবেন মাইক্রোসফটের কোন অফিসের সিন্দুকের ভেতর।
/var
এটাও অনেকটা ক্যাশের মত কাজ করে। তবে এখানে সার্ভারের পাবলিক ফোল্ডারও পাওয়া যায় www তে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

^ Back to Top