আমার দেশ আমার গর্ব।আমার ভাষা আমার অহংকার ।আমাদের মূল উদ্দেশ্য দেশের মানুষের সাহায্য করা।তাদের কাছে আরো সুন্দর ও সহজভাবে টেকনোলজিকে তুলে ধরা।সাহিত্য চর্চা, বিজ্ঞান, ধর্মীয় ও দেশ বিদেশ এর খবরা খবর জানানো।আমরা চাই প্রতিটি মানুষ আরো জানুক, তাদের জানার পিপাসা আরো বাড়ুক।এই উদ্দেশ্যেই আমাদের যাত্রা শুরু।
Welcome text
বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪
সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪
মনের থেকেও জোরে দৌড়াবে 'হাইপারলুপ ট্রেন'!!!
মনের দৌড় কখনও অনুভব করেছেন? সেকেন্ডের কয়েকশো ভাগ গতিতে মন দৌড়ে
বেড়ায়। মন আছে বলেই শুয়ে শুয়ে সুইজারল্যান্ড ঘুরে আসা যায়, আবার গালে হাত
দিয়ে মঙ্গলের হালহকিকতও জানা যায়। ঠিক এইরকম গতিতে ট্রেন চালানোর পদ্ধতি
ভাবা হচ্ছে যা বাস্তবে ভাবতে গেলে মনের সঙ্গে তুলনা করা ছাড়া উপায় নেই।
ইলন মাস্ক ৬০ পাতার এমন এক খসড়া নিয়ে এসেছেন, যেখানে সান ফ্রান্সিসকো থেকে লস এঞ্জেলস যেতে আপনার সময় লাগবে মাত্র ৩৫ মিনিট! আর যার মাধ্যমে যাবেন তার নাম হাইপারলুপ। ২০১৩ তে ইলন মাস্ক অভিনব হাইপারলুপের ভাবনা নিয়ে এসে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ দ্রুত গতি সম্পন্ন পরিবহন ব্যবস্থার পত্তন হতে পারে হাইপারলুপের মাধ্যমে। তবে ভবিষ্যতে এই প্রোজেক্ট কতক্ষানি সফল হবে এনিয়ে বেশ সংশয় রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। কিন্তু এইরকম দ্রুতগতি সম্পন্ন যাত্রপথ তৈরি করতে গেলে মাস্কের ভাবনা যথাযথ এই তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছেননা তাঁরা। কম চাপ যুক্ত টিউবের ভিতর লিনার ইনডাকশন মোটর ও এয়ার কম্প্রেসরে দ্বারা নির্গত বায়ুর চাপে ছুটে চলবে হাইপারলুপ ক্যাপসুল। ৯৬২ কিমি/ঘণ্টায় দৌড়াবে এই ক্যাপসুল। অর্থাত ৫৭০ কিমি পথ যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩৫ মিনিট। তবে এর সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ১২২০ কিমি প্রতি ঘন্টায়।
২০১৩, অগাস্টে প্রাথমিক খসড়া প্রকাশ করেছিলেন ইলন মাস্ক। তারসঙ্গে জমা দিয়েছিলেন আকাশচুম্বী খরচের লিস্ট। এই প্রোজেক্টের জন্য প্রায় ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হতে পারে বলে আশা করছেন মাস্ক। হাইপারলুপ ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলোজি এই ভাবনাকে সফল করার জন্য তার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। কিন্তু কতটা সফল হবে এই হাইপারলুপ প্রোজেক্ট তা নিয়ে সংশয় রয়েছে খোদ ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলোজি কোম্পানির।
ইলন মাস্ক ৬০ পাতার এমন এক খসড়া নিয়ে এসেছেন, যেখানে সান ফ্রান্সিসকো থেকে লস এঞ্জেলস যেতে আপনার সময় লাগবে মাত্র ৩৫ মিনিট! আর যার মাধ্যমে যাবেন তার নাম হাইপারলুপ। ২০১৩ তে ইলন মাস্ক অভিনব হাইপারলুপের ভাবনা নিয়ে এসে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ দ্রুত গতি সম্পন্ন পরিবহন ব্যবস্থার পত্তন হতে পারে হাইপারলুপের মাধ্যমে। তবে ভবিষ্যতে এই প্রোজেক্ট কতক্ষানি সফল হবে এনিয়ে বেশ সংশয় রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। কিন্তু এইরকম দ্রুতগতি সম্পন্ন যাত্রপথ তৈরি করতে গেলে মাস্কের ভাবনা যথাযথ এই তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছেননা তাঁরা। কম চাপ যুক্ত টিউবের ভিতর লিনার ইনডাকশন মোটর ও এয়ার কম্প্রেসরে দ্বারা নির্গত বায়ুর চাপে ছুটে চলবে হাইপারলুপ ক্যাপসুল। ৯৬২ কিমি/ঘণ্টায় দৌড়াবে এই ক্যাপসুল। অর্থাত ৫৭০ কিমি পথ যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩৫ মিনিট। তবে এর সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ১২২০ কিমি প্রতি ঘন্টায়।
২০১৩, অগাস্টে প্রাথমিক খসড়া প্রকাশ করেছিলেন ইলন মাস্ক। তারসঙ্গে জমা দিয়েছিলেন আকাশচুম্বী খরচের লিস্ট। এই প্রোজেক্টের জন্য প্রায় ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হতে পারে বলে আশা করছেন মাস্ক। হাইপারলুপ ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলোজি এই ভাবনাকে সফল করার জন্য তার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। কিন্তু কতটা সফল হবে এই হাইপারলুপ প্রোজেক্ট তা নিয়ে সংশয় রয়েছে খোদ ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলোজি কোম্পানির।
রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪
বুধবার, ৭ মে, ২০১৪
স্বপ্নতাড়িত ন্যানো এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণ
অক্টোবর ৩, ২০১২
ইদানিং ‘ন্যানো’ খুব ট্রেন্ডি শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাড়ি থেকে শুরু করে বিবিধ গৃহস্থালির জিনিসে আজকাল ‘ন্যানো’ শব্দের প্রয়োগ খুব ঝকমারি একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ‘ন্যানো’ আসলে কী? ‘ন্যানো’ হল ন্যানোমিটার শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ – এক ন্যানোমিটার এক মিটারের একশ কোটি ভাগের এক ভাগ (১০^-৯)। দশটি হাইড্রোজেন পরমাণুকে পরপর রাখলে তবে এক ন্যানোমিটারের সমান হবে। আবার আমাদের চুলের গড়পরতা ব্যাস ৫০ মাইক্রোমিটার – যা পঞ্চাশ হাজার ন্যানোমিটারের সমান। চুলের চেয়েও সূক্ষ্মতর দৈর্ঘ্যে কার্যরত প্রযুক্তিকে ন্যানো-প্রযুক্তি বলে। এই স্কেলে বস্তুর অভূতপূর্ব গুণাগুণ প্রকাশ পায় যা সচরাচর দৃষ্ট বস্তু থেকে পৃথক। ন্যানোস্কেলে বস্তুর ভৌত-রাসায়নিক-জৈবনিক ধর্মাবলি পরমাণুর স্কেলে দৃশ্যমান আচরণ এবং বৃহৎ বস্তুতে দৃশ্যমান ঘটনাবলি থেকে আলাদা । যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ন্যানো-টেকনোলজি ইনিশিয়েটিভের (www.nano.gov) সংজ্ঞামতে,
“এক থেকে একশো ন্যানোমিটার স্কেলে বস্তুর গবেষণা এবং পদার্থের নিয়ন্ত্রণ ন্যানো-টেকনোলজির বিষয়। … এই ন্যানোস্কেলে কার্যকর বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিকে একত্রে ন্যানো-প্রযুক্তি বলে। এই ন্যানোস্কেলে বস্তুর ছবি নেয়া (ইমেজিং), পরিমাপ গ্রহণ, গাণিতিক মডেল ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ন্যানোপ্-রযুক্তির অন্তর্ভুক্ত”।
এই হলো ন্যানো-প্রযুক্তির মোটামুটি সর্বজনমান্য সংজ্ঞা। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জগতের এই প্রযুক্তির অধীনে এমনসব বস্তু বা সিস্টেম আছে, যাদের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-বেধের অন্তত একটি মাত্রার দৈর্ঘ্য ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটারের মধ্যে, এমন পদ্ধতির সাহায্যে এগুলোর ডিজাইন করা হয়েছে যেটা/যা আণবিক কাঠামো নিয়ন্ত্রণের দ্বারা সাধিত হয়েছে, এবং এ সব অংশবিশেষ নিজ থেকে বা বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে ম্যাক্রোস্কেলের কাঠামো তৈরি করতে পারে। বস্তুকে কেটে-ছেঁটে ক্ষুদ্রতর করে উক্ত ন্যানোস্কেলে নিয়ে যাওয়া যায় – এটাকে বলে ‘টপ-ডাউন’ পদ্ধতি। আবার অণু বা পরমাণুকে একের পর এক জুড়ে (বা স্ব-সমাবেশ ঘটিয়ে) ন্যানোকাঠামো পাওয়া সম্ভব – এটার নাম ‘বটম-আপ’ পদ্ধতি। প্রথমোক্ত পদ্ধতিতে বহুসংখ্যক ন্যানোকাঠামো বানানো সম্ভব। বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাকটর ইন্ডাস্ট্রি এই পদ্ধতিতেই কাজ করে। এভাবেই নখাগ্রের তুল্য জায়গায় লক্ষাধিক ট্রানজিস্টার বসিয়ে ইলেকট্রনিক চিপ তৈরি সম্ভব হচ্ছে। আবার রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় স্ব-সমাবেশ বা সেল্ফ-অ্যাসেম্বলি পদ্ধতিতে ধীরগতির ‘বটম-আপ’ পদ্ধতিতেও ন্যানোকাঠামো বানানো সম্ভব। কিন্তু ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রির মতো নিভর্রযোগ্যতা (রিলায়েবিলিটি) ও পৌনঃপুনিকতা (রিপিটেবিলিটি) সেভাবে পাওয়া যায় না।
যাহোক, এই ন্যানোপ্রযুক্তির ফলে বস্তুর অভিনব এবং প্রিয়দর্শী গুণাবলিকে কাজে লাগিয়ে ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রিতে বিপ্লব আনা সম্ভব হয়েছে। এই প্রযুক্তির সার্থক প্রয়োগের ফলে কমপিউটারকে আরও ছোট, দ্রুতগতির ও দক্ষ করা যাবে। উদাহরণস্বরূপ, তরুণ-তরুণীদের হাতে যে সব পাতলা ‘আইপড’ দেখা যায়, যাতে বহুসংখ্যক মিউজিক ফাইল সঞ্চয় করে রাখা সম্ভব হচ্ছে, সেটা সম্ভব হয়েছে জায়ান্ট ম্যাগনেটো-রেজিস্ট্যান্স (ফিজিক্স নোবেল, ২০০৭) আবিষ্কারের ফলে । এই প্রযুক্তির ফলে অত্যন্ত স্বল্পপরিসরে প্রচুর তথ্য সঞ্চয় করে রাখা সম্ভব। ন্যানো-প্রযুক্তির এ এক লাগসই প্রয়োগ।
ন্যানোর প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসাশাস্ত্রে যুগান্তর আসবে। এতে করে উন্নত ইমেজিং প্রযুক্তি, দক্ষ ড্রাগ-ডেলিভারি ও ডায়াগনোস্টিক প্রক্রিয়ার প্রভূত উন্নতি সাধন সম্ভব হবে। বর্তমানে ক্যান্সারাক্রান্ত ব্যক্তিকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এর ফলে দুষ্ট কোষের পাশাপাশি সুস্থ কোষও মারা যায়। কিন্তু ন্যানো-প্রযুক্তির ফলে এমন সব ন্যানো-কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে যা দিয়ে শুধুমাত্র আক্রান্ত টিস্যুতেই ওষুধ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এভাবে ইলেকট্রনিক্স ও বায়েটেকনোলজির যুগপৎ সম্মিলনে চিকিৎসাক্ষেত্রে দারুন ফলাফল হাতে পাব। অন্যদিকে, বিশেষ ন্যানো-আবৃতির কেলাস-সমৃদ্ধ দ্রবণ দ্বারা পেইন্ট করা সোলার প্যানেল থেকে অধিকতর দক্ষতায় সৌরশক্তি নিষ্কাশন সম্ভব। তাছাড়া ক্ষুদ্র বহনযোগ্য সোলার চার্জার বানানো সম্ভব হবে যার ফলে মুঠোফোন বা আইপড যখন-তখন চার্জ করা সম্ভব হবে।
অন্যদিকে, কৃষিতে ন্যানোদ্রব্য সম্বলিত সার জমির উর্বরতা বাড়াবে। ন্যানো-কীটনাশক পরিবেশের ক্ষতি না করে এবং উপকারী কীটপতঙ্গকে আঘাত না করে ক্ষতিকর কীট ও ছত্রাককে দূরে রাখবে। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাক্ষেত্রে ন্যানোর প্রয়োগ বায়োটেকনোলজির বিষয়। এই খাতে আছে ন্যানোর অভিনব সব সম্ভাবনা। পরিবেশ রক্ষায়, পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে, পানির বিশুদ্ধকরণে ন্যানো-প্রযুক্তি সম্বলিত ছাঁকনি ব্যবহারে, শিল্পকারখানার বর্জ্য শোধনে ন্যানো-প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে এখনই। ন্যানো-প্রযুক্তির এ সব যুগান্তকারী অবদান আমাদের জীবনযাত্রাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে সক্ষম।
ন্যানো-কৌশল আমাদের জীবমণ্ডলে লক্ষ-কোটি বছর ধরেই কাজ করে চলেছে। গাছের পাতার কথাই ভাবুন – পাতার ভেতরে লুকিয়ে থাকা অতিক্ষুদ্র ক্লোরোপ্লাস্টে রাসায়নিক খাদ্য উৎপাদনে সর্বদা চলছে সৌরশক্তির ব্যবহার। জীবনের প্রতিটি ঘটনাই আণবিকস্তরে ন্যানো-প্রযুক্তির ফসল। আমাদের কোষের ভেতরে মাইটোকন্ড্রিয়া বা রাইবোজোম নামক অসাধারণ সব ন্যানোমেশিন কাজ করছে – প্রথমটি কোষের পাওয়ার-হাউজ এবং পরেরটি জেনেটিক তথ্য থেকে প্রোটিন উৎপাদনের কাজ করে। মাত্র কিছুদিন হল মানুষ প্রকৃতির এই ন্যানো-কান্ডকারখানা উপলব্ধি করতে শুরু করেছে। ১৯৫৯ সালে রিচার্ড ফাইনম্যান তাঁর এক বিখ্যাত বক্তৃতায় ‘দেয়ার্স প্লেন্টি অব রুম অ্যাট দ্য বটম’-এ অণুর জগৎকে নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনার কথা বলেন। সেই থেকে মানুষ ন্যানো-প্রযুক্তির সমঝদার। প্রকৃতি যা করে অত্যন্ত ধীরলয়ে জলীয় দ্রবণে- ন্যানো-প্রযুক্তি তাই করবে দ্রুততার সঙ্গে, শুষ্ক পরিবেশে এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে। এই হল ন্যানো-প্রযুক্তি তথা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্রের প্রযুক্তির সারাৎসার।
এবার একটু ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ। ন্যানো-প্রযুক্তি নিয়ে আমার নিজস্ব পড়াশোনা শুরু হয় ১৯৯৮/৯৯ সাল থেকে। ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্য থেকে এবং সীমিত লভ্য বইপত্র ঘেঁটে ন্যানো-ইলেকট্রনিক্সের সম্পর্কে একটা ধারণা গড়া শুরু হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের সাবেক শিক্ষক (এবং অধুনা পূর্ব-পশ্চিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক) ডক্টর আনিসুল হক ছিলেন আমাদের হাতের কাছের ন্যানো-বিষয়ক সর্বোত্তম বিশেষজ্ঞ। তড়িৎ-কৌশলে স্নাতকোত্তর শিক্ষার অংশ হিসেবে ২০০১ সালে ‘কোয়ান্টাম ফেনোমেনা ইন ন্যানোস্ট্রাকচার্স’ শীর্ষক একটি কোর্স আমি নিয়েছিলাম। কোর্সটি পড়াতেন অধ্যাপক হক। তিনি তখন পার্ডু ইউনিভার্সিটির বিখ্যাত অধ্যাপক সুপ্রিয় দত্তের ততোধিক বিখ্যাত দুটি বই থেকে ন্যানো-ইলেকট্রনিক্স বিষয়ক তাত্ত্বিক নির্মাণটি আমাদের শেখাতেন। অধ্যাপক হকের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তর কোর্সটি এবং IEEE Proceedings-এর এপ্রিল ১৯৯৯ বিশেষ সংখ্যার সাহায্যে ন্যানো সম্পর্কে আমার ধারণা পোক্ত হতে থাকে। সেই সময়কার ন্যানো সম্পর্কিত আমার ধ্যান-ধারণার সর্ব্বোচ্চ পরিণতি থেকে আমি ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপের’ জন্য একটি প্রস্তাবনা লিখি। সেখানে লিখেছিলাম,
“সমন্বিত বর্তনী বা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট আবিষ্কারের পর থেকে ইলেকট্রনিক বর্তনীকে ক্রমান্বয়ে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর আকৃতিতে নিয়ে যাওয়ার এক অনতিক্রম্য প্রবণতা দেখা দিয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে। আজকের দিনের (২০০১) একটি মাইক্রোচিপে প্রায় ১ বিলিয়ন ট্রানজিস্টর বসানো থাকে এবং এ রকম একটি চিপে সর্বনিম্ন ০.১৭৫ মাইক্রন পরিমাণ ক্ষুদ্র ডিভাইস বসানো যাবে। এর চেয়ে ক্ষুদ্রতর হলে কোয়ান্টাম প্রক্রিয়া বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই ক্ষুদ্রতর ডিভাইস তৈরি করা সম্ভব হবে না যদি না একেবারে নতুন কোনও প্রযুক্তির হদিস পাওয়া যাচ্ছে। মিনিয়েচারাইজেশানের এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করাই ন্যানো-প্রযুক্তির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
… বলা হচ্ছে, একুশ শতকে ‘মস্তিষ্কের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও কল্পনাশক্তি, নতুন প্রযুক্তির লাগসই ব্যবহার হবে উন্নতির প্রধানতম চাবিকাঠি’ – এ কথা স্মরণ করে উন্নত দেশগুলি আগেই সম্ভাবনাময় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগুলির তালিকা প্রস্তুত করে ফেলেছে। জাপানের কথাই ধরা যাক। জাপান একুশ শতকের উপযোগী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সীমানাক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে। এই তালিকার শীর্ষস্থানে আছে মাইক্রো-ইলেকট্রনিক্স/ন্যানো-প্রযুক্তি এবং এ সংক্রান্ত গবেষণা। এই যখন পরিপ্রেক্ষিত. তখন আধুনিক বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা কি এখনও ‘অদ্ভূত উটের পিঠে’ই চলতে থাকব? এ দেশের একজন তরুণ ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আমি মনে করি একুশ শতকে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সঠিকতম প্রযুক্তিটি হল ন্যানো-প্রযুক্তি ও এ সংক্রান্ত গবেষণা এবং তার লাগসই প্রয়োগ”।
বলে রাখা ভালো, আজকাল ইন্টেল প্রসেসরে ন্যূনতম ফিচার-সাইজ থাকে ২২ ন্যানোমিটার যা উপরের লেখায় কথিত ক্ষুদ্র ডিভাইসের আকৃতির তুলনায় ৮ গুণ ছোট। আরও বলা দরকার যে, উপরোক্ত ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’ আমি পাইনি এবং ন্যানো-সংক্রান্ত আমার স্বপ্নকল্পনাও পরবর্তীতে বাধাগ্রস্ত হয় দুটো কারণে। মার্কিন মুলুকের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ন্যানোকাঠামো নিয়ে কাজের জন্য গাবেষণাবৃত্তি পেয়েও দু’দুবার ভিসা প্রত্যাখ্যান। অন্যদিকে, কানাডায় আমার গবেষণা সুপারভাইজারের ন্যানো নিয়ে কাজ করতে অনিচ্ছা। তবে গবেষণার কাজে আমি যে সব ‘ক্লিনরুম ইকুইপমেন্ট’ ব্যবহার করছিলাম, সে সব দিয়েই দিব্যি অনেক ন্যানো-কাঠামো নির্মাণ সম্ভব।
২০০৭ সালের দিকে জমাটবাঁধা এই ন্যানো-স্বপ্ন আবার গা-ঝাড়া দিয়ে উঠে যখন আমার পিএইচডি সুপারভাইজার ডক্টর জামাল দীন একটি ১০ মিলিয়ন ডলার ন্যানো গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের জন্য লেখালেখি শুরু করেন। ততদিনে আমার পিএইচডি গবেষণা শেষ পর্যায়ে এবং ২০০৮ সালে দেশে প্রত্যাবর্তনের আগ মুহুর্তে আমার অধ্যাপক মহাশয় ঐ ন্যানোকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় ফান্ড পেয়ে যান। দেশে ফেরার পর আমি সাহস করে ‘ন্যানো’ নামের একটি বইও লিখে ফেলি আমার গবেষণা-অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে। বইটি প্রকাশ পায় ২০১০ সালে। সেখানে আমি লিখেছি,
“ন্যানো-গবেষণায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। কেন্দ্রীয়ভাবে একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। যেখানে ন্যানো-গবেষণার সব পরিকাঠামো থাকবে। যেটা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনমতো শেয়ার করতে পারবে।… বাংলাদেশ সরকার যদি কেন্দ্রীয় পরিকাঠামো (ন্যানোটেকনোলজি ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ, কিংবা ন্যানো-টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার অব বাংলাদেশ জাতীয় কিছু) তৈরি করে দেয় এবং বিদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে গাবেষণা-সহযোগিতার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা যদি করা যায়, তবে আমার দৃঢ়বিশ্বাস, আমাদের দেশ এশিয়ার মধ্যে ন্যানো-বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হবে।… আমাদের অবশ্যই সে মেধা ও ধীশক্তি আছে”। (পৃঃ ১৩২-১৩৪)
২০১০ সালে বিখ্যাত জিন-বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের সঙ্গে বায়ো-টেকনোলজি ও ন্যানো-টেকনোলজি নিয়ে একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞান-বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ আমার ঘটে এবং সেখানেও আমরা এমনই একটি প্রতিষ্ঠানের কথা বলি। এ সব হইচইয়ের ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন গত ২১শে সেপ্টেম্বর “আন্তর্জাতিক ন্যানো-প্রযুক্তি কর্মশালা-২০১২”তে পাবলিক-পাইভেট পার্টনারশিপে একটি ন্যানোকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন, তখন আমার যারপরনাই আনন্দ হচ্ছিল। সুদীর্ঘ প্রায় একযুগের এক ব্যক্তিগত স্বপ্নের এমন সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ঘোষণা সত্যিই শিহরণ জাগায়! তবে কেউ যেন মনে না করেন, কেবল নিজের বাদ্য বাজানোর জন্যই এই লেখা ফেঁদেছি! চুনোপুটিদের চেঁচামেচিতে কবেই বা এ দেশে চরকি ঘুরেছে? আসলে আমাদের মতো আরও কয়েকজন একই সময়ে প্রায় কাছাকাছি স্বপ্ন দেখেছিলেন; ঠিক সময়ে ঠিক মানুষরা ঠিক জায়গায় কলকাঠি নেড়েছেন বলেই আজ এই পথচলা সম্ভব হয়েছে।
গত ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১২’তে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক ন্যানো-প্রযুক্তি কর্মশালা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এর সমাপনী ঘোষণা করেন। কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের গবেষকরা। সেই সঙ্গে অনেক দেশীয় প্রতিষ্ঠানের গবেষক এবং ছাত্র-ছাত্রীরাও অংশ নেন। কর্মশালাটির সহ-আয়োজক ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মশালাটির শেষে কিছু সুনির্দিষ্ট রেকমেন্ডেশন প্রস্তাব করা হয় যার অন্যতম হল বাংলাদেশের জন্য একটি কেন্দ্রীয় ন্যানো-গবেষণা কেন্দ্র, ন্যানো-বিষয়ক একটি জাতীয় নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন।
এর পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য খাতসমূহ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হল – স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, কৃষি ও পরিবেশ, জ্বালানি, আইসিটি/মাইক্রো-ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি। ক্যাপাসিটি-বিল্ডিং বা অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি শিক্ষায় ন্যানোর অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কে সুপারিশ করা হয়। আমি ও আমার সহকর্মী (সাজিদ মুহাইমিন চৌধুরী) এই কর্মশালায় কারিকুলাম বিষয়ে একটি পোস্টার প্রদর্শন করি। সেখানে আমাদের বক্তব্য ছিল এ রকম – জুনিয়র, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা কারিকুলামে ন্যানোর অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন; তাহলে ২০২১ সাল নাগাদ আমরা যথেষ্ট সংখ্যক শিক্ষিত এবং অনুপ্রাণিত গবেষক-সম্প্রদায় হাতে পাব যাঁরা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত ন্যানোকেন্দ্রে কাজ করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সবগুলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডিসিপ্লিনে অন্তত একটি ন্যানো-বিষয়ক পরিচিতিমূলক কোর্স থাকতে হবে বলেও আমরা উল্লেখ করেছি।
প্রস্তাবিত ন্যানোকেন্দ্র সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত মতামত হল, যেহেতু ন্যানো-প্রযুক্তি অত্যন্ত মাল্টিডিসিপ্লিনারি ধরনের একটি বিষয় – এখানে রসায়ন যেমন লাগে, পদার্থবিদ্যাও দরকার হয়। ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং যতখানি প্রয়োজন, মেটেরিয়াল্ সায়েন্সও ততখানি প্রয়োজন। বায়োকেমিস্ট্রি লাগে, আবার মাইক্রোবায়োলজিও লাগে। ফার্মেসি তো বটেই। কাজেই এই ন্যানোকেন্দ্রটি একটি একক প্রতিষ্ঠান হলেই ভালো। ঢাকা থেকে দূরে মনোরম ঝঞ্ঝাটমুক্ত স্থানে একটি পোস্ট-গ্রাজুয়েট গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি গড়ে উঠবে। এই প্রতিষ্ঠানে শুধু মাস্টার্স ও পিএইচডি গবেষণা হবে। ন্যানো-প্রযুক্তির সব শাখার মোটামুটি সব ইকুইপমেন্ট সেখানে থাকবে। ফলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সমানভাবে এগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এ রকম একটি পরিকল্পনা শ্রীলঙ্কায় নেয়া হয়েছে।
তাঁরা এটাও নিশ্চিত করেছে যে, প্রতিষ্ঠানটির বেতন-কাঠামো এমন হবে যাতে গবেষকরা বিদেশ চলে যাবেন না। শ্রীলঙ্কার মডেলটিতে বাজেট ধরা হয়েছে ৫ মিলিয়ন ডলার যার অর্ধেক সরকার দেবে, বাকি অর্ধেক দেবে বহুজাতিক কয়েকটি কোম্পানি। আমরাও এভাবে এগুতে পারি। এ ধরনের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশ বড় অঙ্কের হয়। কাজেই সেটাও চিন্তার বিষয়। এটার সুরাহা এমনভাবে করা যায় – সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বরাদ্দকৃত গবেষণা খাতের একাংশ (ধরা যাক ৪০%) ন্যানোকেন্দ্রে খরচ করতে হবে – এ রকম একটি শর্ত আরোপ করে দিলে ন্যানোকেন্দ্রের খরচ কিছুটা উঠে আসবে। শ্রীলঙ্কার মডেলে এমনও শর্ত আছে যে, ন্যানোকেন্দ্রে যদি কোনও একটি গবেষককে প্রয়োজন হয়, তবে ওই গবেষকের প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ঐ ন্যানোকেন্দ্রে কাজ করতে দিতে বাধ্য থাকবেন।
এভাবে একটি চমৎকার ব্যবস্থাপনায় একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ সম্ভব যা আমাদের জাতীয় অহংকারের বিষয় হতে পারে। অবশ্যই ন্যানোকেন্দ্রের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনায় যাঁরা থাকবেন তাঁদের প্রাজ্ঞ ও বিচক্ষণ হতে হবে – কেবলমাত্র গবেষক বা ব্যবস্থাপক নন। এমন সব প্রফেশনালকে রাখতে হবে যাঁরা গবেষণাও বোঝেন, আবার ব্যবস্থাপনাতেও দক্ষ, সরকারি মহলে দৌড়ঝাঁপের ব্যাপারে যাঁ(দে)র কোনও বাধ্যবাধ্যকতা থাকবে না, কিংবা বহুজাতিক কোম্পানির দরজায় দাঁড়াতেও লজ্জা থাকবে না।
তাত্ত্বিক গবেষকরা প্রশ্ন তুলতে পারেন, তৃতীয় বিশ্বের গরীব দেশে এত খরচ কেন? তাত্ত্বিক গবেষণার দরকারও যেমন আছে, ফলিত গবেষণারও দরকার আছে। তাত্ত্বিক গবেষণায় মগজের ব্যায়াম যতখানি ঘটে হাতের ব্যায়াম ততটা হয় না। তৃতীয় বিশ্বে হাতে-কলমে ফলিত গবেষণা না থাকলে প্রযুক্তির প্রসার বন্ধ হয়ে যাবে। এতে আমদানীমুখী অর্থনীতির দিকে বেশি ঝুঁকতে হবে, যা জিডিপিতে প্রভাব ফেলবে। আমাদের দেশে তাত্ত্বিক গবেষক অনেকই আছেন- ট্রানজিস্টরের গেইট-লেংথ কত ছোট করলে ‘ওয়েভ ফাংশন পেনিট্রেশন’ পদ্ধতি ফলপ্রসূ হবে, কিংবা দূর গ্যালাক্সির ব্ল্যাক-হোলের ঘটনা, দিগন্তে কী ধরনের কণিকারা খেলা করে, অথবা ল্যাটিস গেজ থিওরি কীভাবে সহজে গণনা করা যায় – তেমন গবেষক পাওয়া দুর্লভ নয়।
কিন্তু একটি মুঠোফোন বানানোর মতো দক্ষ জনবল আমাদের নেই, অথচ মুঠোফোনের গ্রাহকসংখ্যা ৯ কোটির বেশি! গত চল্লিশ বছরে আমাদের প্রকৌশল শিক্ষা-গবেষণা বহুলাংশে কম্পিউটার-গণনাভিত্তিক হয়ে গেছে, বিভাগে-বিভাগে কমপিউটার সফটওয়্যারের জয়জয়কার (হাতে-কলমে গবেষণা করা যায় এমন রিসার্চ-গ্রেড ল্যাব আমার নিজের বিভাগেই দুটোর বেশি নেই, অথচ বিভাগে ডক্টরেট শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় চল্লিশ)! এ অবস্থা কোনওমতেই কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মেধারপ্তানির প্রতিষ্ঠান হলে চলবে না। এ জন্য চাই একটি ‘টেকনোলজি রোডম্যাপ’। ২০২১ সাল নাগাদ আমাদের দশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে এবং সেখানে টিকে থাকতে হলে (টেকসই উন্নয়ন) আমাদের ফলিত ও প্রকৌশল গবেষণার প্রয়োজন। একটি সুনির্দিষ্ট ও সুপরিকল্পিত ‘টেকনোলজি রোডম্যাপ’ জাতিসংঘ প্রণীত মানব-উন্নয়ন সূচকে (হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইন্ডেক্স) সরাসরি অবদান রাখে।
মানব-উন্নয়ন সূচকে আমরা অনেকখানি এগিয়ে, কিন্তু এই অগ্রগতি ধরে রাখতে চাই হাতে-কলমে প্রযুক্তি-গবেষণা। দিস্তায়-দিস্তায় কাগজ খরচ করে করা গবেষণার অবদান সরাসরি মানব-উন্নয়ন সূচকে যায় না, যায় হাতে-কলমে প্রযুক্তি ও প্রকৌশল গবেষণার সরাসরি অবদান। মঙ্গলে যাবার কক্ষপথ আমি হাজারবার গণনা করতে পারি, কিন্তু ফলিত গবেষণায় প্রাপ্ত রকেট-প্রচালন সংক্রান্ত প্রযুক্তি হাতে না থাকলে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে এক হাজার ফুট উড্ডয়নও সম্ভব নয়। কাজেই টেকনোলজির উন্নয়ন ছাড়া মধ্যম-আয়ের দেশ হিসেবে আমরা টিকে থাকতে পারব না। দেশীয় গবেষণায় এবং শিল্পোন্নয়নে তাই এই প্রস্তাবিত ন্যানোকেন্দ্র ব্যাপক প্রভাব রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস।
গত দশ বছরে ভারত ও চিন গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে খরচ দ্বিগুণ বাড়িয়েছে। ভারতের বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় ‘ন্যানোমিশন’ ঘোষণা দিয়ে ২০টি আঞ্চলিক কেন্দ্র উন্নয়নে কাজ করছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্থান ও মায়ানমার (এবং নেপাল ও ভুটান) ছাড়া আর সবাই ন্যানো-গবেষণা শুরু করে দিয়েছে তোড়জোড় বেঁধে। আমরাই বা শুধু কেন অদ্ভুত উটের পিঠে চলব?
শুধু একা স্বপ্ন দেখলেই হয় না, আরও অনেক স্বপ্নচারী মানুষও দরকার। আমাদের সৌভাগ্য, এ রকম ন্যানো-স্বপ্নচারী একাধিক মানুষের খোঁজ আমরা পেয়েছি, তাঁরা একত্রিত হয়ে এ সম্পর্কিত প্রথম ওয়ার্কশপটি আয়োজন করতে পেরেছেন। নিজেদের ব্যক্তিগত স্বপ্নকে জীবদ্দশাতেই খোদ প্রধানমন্ত্রীর মুখে উচ্চারিত হতে শোনা- এতসব অসম্ভব ব্যাপার ঘটলে কার না ভালো লাগে! আর সে জন্যই ব্যক্তিগত উচ্ছ্বাসে ভরা এই রচনা। কিন্তু সব উচ্ছ্বাসের পেছনে বাংলাদেশে যেমন ব্যর্থতার কান্না লুকিয়ে থাকে, ন্যানোতেও যেন সে বিষাদের ছোঁয়া না লাগে সেটা দেখাই আমাদের কর্তব্য।
আমাদের কর্মশালার তৃতীয় দিনে আমাদের ওলামা-মাশায়েখরা এক উদ্ভট কারণে হরতাল ডেকে বসলেন। ফলে মিরপুর থেকে আমাকে রিক্সায় চড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়। দেশের যা অবস্থা তাতে প্রস্তাবিত ন্যানোকেন্দ্রটি যেন আবার রিক্সায় চড়ে যাত্রা শুরু না করে সেটিই এখন দেখার বিষয়। ন্যানো-ট্রেনটি যেন আবার মিস না হয়ে যায় – সেটাই আমাদের সবার প্রত্যাশা হওয়া উচিত।
তথ্যসূত্রঃ
১। ‘ন্যানো’, ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, পড়–য়া, ঢাকা, ২০১০।
২। ২০১০ সালের ২১শে নভেম্বর ‘৪র্থ আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন ও জহুরুল হক স্মারক বক্ততা’, সার-সংক্ষেপ দৈনিক প্রথম আলো, ৫ ডিসেম্বর ২০১০।
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৪
Cutting edge trends in web design.
In
today's digital world Web design is among the fastest growing careers. The internet has become an
essential part of ones daily lives
starting from business user to any individual. In the recent past we are all acquainted
with web design just the way we are with the internet. Web design trends are
always changing as the content, layout , graphics of the internet has to stay
updated according to the needs of the users. So the web design trends are
continuously updating itself and adopting new technologies available in the market.
Some of the current trends are to be kept in mind if one opts for a career in
web design.
Responsive and intuitive layouts are an increasing trend shown by The World Wide Web these days. This is
helpful and important especially for the mobile users to view important
information on the web on a small platform. There is also a trend showing to make the layout universal so that web designers don’t have to
create multiple codings, and can instead use one set of code that is uniform
and also easily adaptable to new technologies. Another first growing trend is retina support. This means twice as many
pixels in a given space as the retina displays require dense layouts to
maintain a sharp image .The Apple’s newest iPad and other devices now support
this technology and it has become like an ice cream topping for the companies.
This means web design courses these days
include sections on how to code a retina
friendly layout. Computer courses will focus on building sites that focus on
these new technologies so that users have the best experience. Both of these
web design trends have influenced mobile
devices the most. The header bar that is
fixed and frequently seen on web sites
on all social media has seen a surge in
the last year. This had made site navigation easier from any platform.
These are the latest trends in
web design.Another important and first growing trend is The Scorll Triggered
Call-to-Action.Sometimes when you are not fairly certain the the user has not
finished reading you don’t want to overwhelm content with calls-to-action.This
is where the scroll trigerred call-to-action comes.Taken for example when an
article is browsed in the New York Times the next article in the series will
only come when one has reached the bottom of the current article.Another
ongrowing trend is the use of user badges adopted by the websites.This has
increased the participation and interest of the viewers.The animated html
multiheader has made it easier to access multiple links all under a single
header.Its advantage is two fold.Embeded infographics and designing around with
illustration has made a site all the more colorful and acceptable to the gen-y
users.Creative content format is also enpther trend contributing to better web
designing these days.So a career in web design is no doubt increasing by leaps
and bounds and there are a very few computer related courses with such
versatile opportunities.
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৪
Some ideas about Information Technology
http://vubandanga.blogspot.in/p/blog-page_26.html
Agile
Project Management.
Agile Project
Management is an iterative method of managing the design for information
technology,engineering and other service development projects for example agile
software development.Agile management techniques are best used small-scale
projects or in complex projects which are tough for the customers to
understand.Highly skilled individuals from relevant busyness are required with
efficient supplier and customer input.They are also linked with Lean
techniques, Kanban and Six sigma.It is sometimes called extreme project
management.This is a part of the iterative life cycle where the deliverables
are to be submitted in stages.But there is a basic difference between agile and
iterative development.A small portion of the derivable is completed in each
delivery cycle in agile development.Whereas,the iterative method submits the
entire derivable at the end of the project making it more complex.
Agile
Training. Agile
certified professionals offers agile training in many rightly affiliated
institutions or may be online in some cases. Studies have revealed that agile
training is gaining momentum in the recent past compared to scrum training. In
a three day agile fundamental course additional knowledge is given to delve
deep into initiation, governance and leadership practices handle a project
fruitfully. On the other hand a scrum training for two days gives only a
detailed understanding of the scrum process. Agile training includes-1. Agile Fundamental
Training, 2. Experience on at least one agile project, 3. Agile facilitation
and 4. Iteration Management training. A complete agile curriculum with Agile
fundamentals followed by a role based training helps a participant to become a
Certified ICAgile Professional.
Agile
Project Management Training.
Agile Project
Management Training provides an organization with a more structured approach to
project management. It provides a way to implement high-priority initiative
program. In order to successfully implement projects agile project management
is very useful which is a set of
frameworks covering people, techniques
and products. Agile is both suitable for software or system development and
also for managing all sorts of business change. Agile Project Management
Training goes through a number of steps. It includes programs like Agile (DSDM)
with PRINCE2, Agile and Scrum Awareness, Agile Awareness Executive Overview,
Agile Foundation and Practitioner , Agile Project Management and Agile Seminar.
This training focuses on how to handle an agile project, laying foundation for successful agile
projects and clarify various management styles needed for successful agile
projects.
Agile
Certification. Agile Certification is
a global benchmark for judging agile capability which helps one to master the
hows and whys.Such certifications tells us that a person has been exposed to a
particular knowledge or has passed a test in this field of knowledge.Gaining
mere knowledge is good but to transform it to business one needs performance
achieved through skill.A skill based certification shortens the hiring process
and certified individuals are given first priority.Real projects needs much of
learning and through knowledge.So,at the end of the day this learning is worth
certification.Knowledge based certifications such as Certified Scrum Master and
Foundation as easy to achieve.Higher level certification needs a project
experience, a written project synopsis and a viva.
http://vubandanga.blogspot.in/p/blog-page_26.html
বাঙালির mall-culture
আজ বিকেলে সোনালি free নেই।Plan-বন্ধুদের সাথে
আড্ডা আর window
shopping। হুড়মুড় করে
সবাই mall-এ ঢুকতেই সোনালি বলল, “ hey guys, lets have some coffee
first”।
শুধু সোনালি নয়, যে দিকেই তাকান আপনার,আমার
মাঝে ৯৯% বাঙালি-ই shopping mall-এ ঢোকা মাত্র মল,মূত্র
ত্যাগ করার মতই বাংলা ভাষা ত্যাগ করে English বলতে শুরু করেন।
এই প্রথা shopping
mall নামক জায়গাটির rules and regulations-এর মধ্যে পরে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। Shopping mall-এ যাওয়ার পথে বাস-এ যে বাঙালি পরিষ্কার বাংলায় মনের সাধ
মিটিয়ে পরনিন্দা,পরচর্চা করেন সেই বাঙালির যে কেন shopping mall-এ ঢুকলেই এহেন পরিবর্তন ঘটে তাও অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। মাস
কাবারি বাজার করতে সাহা বাবু’র দোকানে গিয়ে, “রামু ৫০ মুগডাল দে তো” না বললে
বাঙালির আশ মিটিয়ে বাজার করা হয় না।কিন্তু shopping mall-এ গিয়ে, “এক কিলো
আলু কিনব” বললেই মহা বিপদ।
এতো গেল বাংলা থেকে ইংলিশ-এ বঙ্গানুবাদ-এর
পালা।এবার আসা যাক আড্ডা তে।যে বাঙালির মন সন্ধ্যে সাতটার পর-ই পারার রক এর প্রতি
আকৃষ্ট হয়ে সেই আসল বাঙ্গালি।নিখাদ সোনা!কিন্তু এক্ষেত্রেও নতুন চমক!সদলবলে আড্ডা
মারার উপযুক্ত যায়গা এখন shopping mall।বিনা পয়সায় A.C-র হাওয়ার হাতছানি উপেক্ষা করাটা ঠিক পরস্ত্রী-র দিকে
তাকানোর অদম্য ইচ্ছা কে নিজের বউ এর নজরদারির ভয় মনে পুষে রাখার মতোই সাংঘাতিক!
এবার আসা যাক shopping mall-এর এক এবং অদ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য-তে...window shopping।শব্দ
টির সম্ভাব্য মানে কেনার ইচ্ছা ছাড়াই দোকানে সাজানো জিনিসপত্র দেখা।মানে কেনার মত
ট্যাঁকের জোর নেই বলে চোখ দিয়ে গিলে খাওয়া।অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর
মতো।তাতেই বাঙালির পরম তৃপ্তি।এখানেই সিমাবধ্য নয় shopping mall-এর বৈশিষ্ট্য।প্রেমের সহজ পাঠ পরা যুগলদের-ও এখন আর পড়ন্ত
বিকেলের আলোয় ভিক্টোরিয়া আর বাদাম ভাজা পছন্দ নয়।প্রেমের নতুন ঠিকানা এখন food court।
এক কথায় বলাই যায় বাঙালির সুখের সংসারে যায়গা
করে নিয়েছে shopping
mall।Shopping mall-এর রূপ,রস,গন্ধে
বাঙালি মুহ্যমান।
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৪
Wildlife of India: an overview
http://vubandanga.blogspot.in/p/blog-page_26.html
Microbes,plants and all non-domestic animal
species that grow normally in an area uninhabited by human beings is
traditionally referred to as wildlife.Wildlife forms a major part of all
ecosystems.Distinct forms of wildlife are scattered in
grasslands,plains,deserts,forest and abdrubptly here and there.In the recent
past wildlife is hugely affected by human activity.Exploiting wildlife for
human benefit is checked only in the recent years,otherwise throughout all this
years human beings have continuously tried to ruin wildlife in many ways.This
in turn has affected the balance in the ecosystem and easy growth of animals.
India as a democratic country is capable of sustaining a wide variety of
wildlife even today. Apart from domestic animals there are many wild animals
available in different parts of the country.
The
bio-reserves,sanctuaries,and wild life parks are reserving about 7.86% of the
mammals,12.6% of the avian,6.2% of the reptiles and last but not the least 6.0%
of the flowering plants.India forms the home of 34 bio diversity hot-spots
covering the western ghats.In order to preserve the thretned animal species
wildlife management becomes essential for the country.The forests forms an
important part of wildlife.India is dominated by the tropical rain forest,dry
and moist deciduous forest,coniferous forest and even thorn forest covering
central Deccan.Trees having herbal remedies like neem covers many parts of the
forest.The history of mass exchange of species goes back to the days of the
collision of peninsular India with the Laurasian landmass.However many of those
species are on the verge of extinction because of climatic change,volcanic
eruption and also by human interference.One of such animal is the most
endangered predator available in India till today known as dhol.Some other
noteworthy endangered species are the Nilgiri Leaf Monkey,the Snow
lepard,Beddome’s toad and many more.Moreover India forms the home of near about
172 endemic animals designated by IUCN.
Some
indigenous species found in India are Sloth Bear, Blackbuck also known as
Indian Antipole, the Blue Bull generally known as ‘neelgai’ and the Chausingha
or Four Horned Antipole. The wildlife species found in India are the tiger,
lion, leopard, jungle cat, caracul and many more forming the cat family. Animals
like a jackal, wolf, red fox, the great Indian dog or Dhol also forms a part of
Indian Wildlife. Mention should also be made of the Black bear , Brown bear,
Sloth bear, the Asiatic Elephant, the Great Indian One Horned Rhino, the
Sambar, Chitol and Hog deers. Besides animals India is also a paradise for bird
lovers. More than 1250 species of birds form an important part of Indian
wildlife. Last but not the least India also forms the home of nearly 20,000
species of insect and 700 species of fishes.
Indian wildlife and its flora and fauna can be found scattered in all
over the country. It ranges from the Trans Himalayas in the far north to the
Islands and Coasts of far south. The extremely arid and semi arid desert
regions are also inhabited by near about 200 to 300 species of birds.
মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০১৪
জি-মেলকে (gmail) চিনুন!
কী ভাবছেন? ঝিঙ্কু প্রেমিকা থেকে সে এখন ঘরের বউ হয়ে গেছে বলেই তার পুরোটা জানাও হয়ে গেছে?
যদি সে কথাই ভাবেন, তাহলে আখেরে লাভের লাভ কিস্যু হবে না। টেকনো দুনিয়ার পুরোটা মানুষের মনের মতোই প্যাঁচে প্যাঁচে বাঁধা। তাই কোন গিঁটে টান দিলে কী ফল হয়, সেটা হাতেনাতে বাজিয়ে দেখতে হবে তো! নইলে আর জি-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে লাভ কী হল!
আসলে, চেনা জি-মেলের অচেনা ফিচারগুলোকে চিনতে হলে একটু সমঝদারি দরকার। সময় বাঁচানোর সমঝদারি, কম ঝক্কিতে নিজের কাজ সামলে নেওয়ার বুঝদারি। এটাই তো ভার্চুয়াল দুনিয়ার আসল ক্যারিশ্মা। যা হবে, চটজলদি হবে।
এবার তাহলে চটজলদি জি-মেলের সঙ্গে একটা সপ্তপদী সেরে ফেলা যাক! সাতটা পাক আর তাতেই আপনার জি-মেলের সঙ্গে দেয়া-নেয়া সারা! সেই সাত ফিচার্স, জি-মেলের যে সুবিধেগুলোর কথা আপনি তেমন করে জানতেনই না।
১. এক্সট্রা ডটেড অ্যাফেয়ার
অনেকেরই ধারণা আছে যে, জি-মেল মেল-আইডি-র ব্যাপারে ভীষণ স্পর্শকাতর আর সাবেকি। আইডি-র প্রত্যেকটি অক্ষরকে তাই যেমনটি তেমন বসাতে হবে; ভুল করেও তার মধ্যে কোনও ডট্ (.) পড়লে চলবে না! পড়লেই চিত্তির; মেল আর পৌঁছাবে না ঠিকানায়!
আমি বলি, গুজবে কান দেবেন না। আধুনিকা জি-মেলের এসব বাতিক তো নেই-ই; উল্টে সে এক্সট্রা-ডটেড আইডি-কেও হেসেখেলে সামলে নেয়। ধরুন, আপনি মেল পাঠাতে চাইছেন anirbanchaudhury@gmail.com ঠিকানায়। ওদিকে টাইপ করার সময়ে তাড়াহুড়োয় একটা পুট পড়েই গেল। আইডি-টার চেহারা দাঁড়াল, anirban.chaudhury@gmail.com! নিশ্চিন্ত থাকুন, অনির্বাণ আপনার মেল ঠিক পাবে!
এই ফাঁকে চুপিচুপি বলে রাখি, a.n.i.r.b.a.n.c.h.a.u.d.h.u.r.y.@gmail.com – এভাবে পাঠালেও জি-মেল আপনার কথা ঠিক পৌঁছে দেবে। আইডি-র অক্ষরের মাঝে কী রইল, এসব নিয়ে জি-মেল আদৌ মাথা ঘামায় না।
২. জি-মেলের অ্যালার্মিং স্নুজ (snooze)
চোখ কপালে তুলবেন না! দিনকালই এমন যে একটা প্রযুক্তি দ্যাখ না দ্যাখ নিজেকে ফিট করে ফেলছে অন্যের শরীরে। জি-মেলের শরীরেও যদি একটু-আধটু অ্যালার্মিং গুণাগুণ দেখা দেয়, মন্দ কি? তা বলে জি-মেলে অ্যালার্ম বাজবে- এটা আশা করবেন না, প্লিজ!
ভেবে দেখেছেন কখনও, ঝপাঝপ একটার পর আরেকটা মেল, আগেরটা বন্ধ না করেই এন্তারসে খুলে গেলে, ইনবক্সটাকে কেমন ভয়ানক দেখতে লাগে? তাছাড়া, যে মেলগুলো খোলা হল, সেগুলো বন্ধ করবে কে- এই কূটনৈতিক প্রশ্নটাও সাবকনশাস মনকে বড্ড বিরক্ত করে। সেটা বুঝতে পেরেই জি-মেল হাতের নাগালে রেখেছে the free Gmail app Boomerang। এটা ব্যবহার করতে শুরু করলেই অর্ধেক সমস্যা মিটে গেল। যত খুশি মেল খুলুন আর একটা টাইমার সেট করে রাখুন। দেখবেন, সেই নির্দিষ্ট সময়ের পরে খোলা মেলগুলো নিজে থেকেই কেমন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সুড়সুড় করে!
৩. চোর ধরবে জি-মেল
আগেই একবার বলেছি, আইডি-র অক্ষরের মাঝে কী চিহ্ন রইল, তা নিয়ে জি-মেল মোটেই ভাবিত নয়। আপনিও ভাবিত না-হয়ে ওই সুবিধেটাকেই কাজে লাগিয়ে চোর ধরতে পারেন। সেই চোরকে, যে আপনার আইডি পাচার করছে অন্যের কাছে। কীভাবে?
ধরুন, আপনি গেছেন কোনও অন-লাইন কেনাকাটার সাইটে। সেখানে সাইন আপ (sign up) করবেন নিজের আইডি দিয়েই। নইলে কেনাকাটার কতটা কী হল, সেই নোটিফিকেশন চটজলদি পাবেন কই? এখন, এই যে অন্য সাইটে নিজের আইডি ছাড়ছেন, তা নিরাপদ তো? সেটাই বাজিয়ে দেখুন জি-মেল দিয়ে।
স্রেফ ‘+’- এই চিহ্নটা বসিয়ে দিন আইডির শেষে আর তার পরে জুড়ে দিন আরেকটা কিছু। anirbanchaudhury@gmail.com-এর বদলে যেমন লিখতে হবে anirbanchaudhury+shopping@gmail.com। ব্যস, যথেষ্ট। নিশ্চিন্ত থাকুন, ওই অন-লাইন সংস্থার সব নোটিফিকেশন তো আপনি পাবেনই; তার ওপর পেলেও পেতে পারেন অন্যান্য কিছু অন-লাইন সংস্থার নোটিফিকেশনও। তারপর আর বুঝতে বাকি কী থাকবে যে কে পাচার করেছে আপনার আইডি?
৪. ডেস্কটপে মেলের নোটিফিকেশন
নিশ্চিন্ত থাকুন, আপনি ঠিকই পড়ছেন। মেল এলে তার নোটিফিকেশনটা আপনার ডেস্কটপেই পপ-আপ (pop-up) করে জানিয়ে দিতে পারে জি-মেল। দরকার শুধু সেটিংস্-এ (Settings) গিয়ে সামান্য স্ক্রল ডাউন (scroll down) করে ডেস্কটপ নোটিফিকেশন-টা (Desktop Notifications) অ্যাক্টিভেট করে রাখা।
তারপরে, সে পরকীয়ার হোক অথবা কাজের, ঘন ঘন মেলের আনাগোনায় চোখ রাখাটা আপনার আটকায় কে?
৫. এক ক্লিকে ইনবক্স সাফ
জি-মেলের দয়ার শরীর, বিনিপয়সায় নেহাত কম জায়গা আমাদের সে দেয় না। কিন্তু তারপরেও এই আমার মতো পৃথিবীর বিচিত্র প্রাণীরা কি আর সেই ইনবক্সটাকে ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোট এ তরী’ পর্যায়ে নিয়ে যায় না? একটিও মেল মুছে না দিয়ে জঞ্জাল বোঝাই করে না? তারপরে যখন মেল আসে না বা যায় না, তখন নাকানিচোবানিটাও ভোগ করে ভালমতোই।
কিন্তু দয়ালু জি-মেল আদতে মুশকিল আসানও। বার বার ক্লিক করে আঙুলে ব্যথা ধরিয়ে সব মেল মোছার যাতনা থেকে সে আমাদের রেহাই দিয়েছে। এটা তো লেখাই থাকে যে সবশুদ্ধ ক’টা মেল ইনবক্সে জমা হয়ে আছে। এই আমারই যেমন, ১,৩৩৭ খানা! তাহলে উপায়? ওই সংখ্যার জায়গাটা থেকে চলে যান ‘শো মোর মেসেজেস’-এ (show more messages)। তার পরে বাঁ দিকের একেবারে ওপরে ছোট্ট বক্সটায় শুধু একটা ক্লিক করলেই কেল্লা ফতে। সঙ্গে সঙ্গে সবক’টা মেল মার্কড্ হয়ে যাবে। তারপর সেগুলোকে মুছে ফেলতে আর কতক্ষণ?
৬. মেল পাঠিয়েও ফিরিয়ে নেওয়া
আচ্ছা, এরকম কি হয় না যে একটা মেল চলে গেল ভুল ঠিকানায়? অথবা চিঠির বয়ানে বানান ভুল-টুল রয়ে গেল? এরকম যদি হয়েই থাকে- সে লজ্জা ঢাকবেন কীসে?
ওই জি-মেল দিয়েই। অতশত না-ভেবে সোজা চলে যান সেটিংস-এ (Settings)। সেখান থেকে ল্যাবস্ (labs)। তার পরে একটু স্ক্রল ডাউন করে আন-ডু সেন্ড (undo send)। আর কী, হয়েই গেছে। শুধু এনেবল (enable) করে সেভ চেঞ্জেস (save changes) ক্লিক করলেই হল। আপনার রহস্য তাহলে গোপনই থাকবে।
৭. সুশৃঙ্খল জি-মেল
মানুষের বাচ্চার মতো জি-মেলও বেয়াড়া হয় ঠিকঠাক শৃঙ্খলার অভাবে। আর সেটা হলে আখেরে নিজেরই মুশকিল। হয় কোনও কাজের মেল খুঁজে পাবেন না ঠিক সময়ে, অথবা কোনও দরকারি মেল মনের ভুলে মুছে দিয়ে বসে থাকবেন। কী দরকার এত ঝক্কির? তার চেয়ে নানান রকম চিহ্ন ব্যবহার করে কোন মেলটা দরকারের, কোনটা নয়- সেটা মার্ক করে রাখলেই তো হয়।
তার জন্য চলে যান জেনারেল-এ (general), সেখান থেকে স্টার্স-এ (stars)। ওখানে পাক্কা ছয় রকমের রঙিন তারা আর ছয় রকমের আরও হরেক চিহ্ন পাবেন। কোনটা কীসের জন্য ঠিক করে ফেলে সেভ চেঞ্জেস (save changes) করে ফেললেই আপনাকে আর পায় কে?
কী ভাবছেন? ঝিঙ্কু প্রেমিকা থেকে সে এখন ঘরের বউ হয়ে গেছে বলেই তার পুরোটা জানাও হয়ে গেছে?
যদি সে কথাই ভাবেন, তাহলে আখেরে লাভের লাভ কিস্যু হবে না। টেকনো দুনিয়ার পুরোটা মানুষের মনের মতোই প্যাঁচে প্যাঁচে বাঁধা। তাই কোন গিঁটে টান দিলে কী ফল হয়, সেটা হাতেনাতে বাজিয়ে দেখতে হবে তো! নইলে আর জি-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে লাভ কী হল!
আসলে, চেনা জি-মেলের অচেনা ফিচারগুলোকে চিনতে হলে একটু সমঝদারি দরকার। সময় বাঁচানোর সমঝদারি, কম ঝক্কিতে নিজের কাজ সামলে নেওয়ার বুঝদারি। এটাই তো ভার্চুয়াল দুনিয়ার আসল ক্যারিশ্মা। যা হবে, চটজলদি হবে।
এবার তাহলে চটজলদি জি-মেলের সঙ্গে একটা সপ্তপদী সেরে ফেলা যাক! সাতটা পাক আর তাতেই আপনার জি-মেলের সঙ্গে দেয়া-নেয়া সারা! সেই সাত ফিচার্স, জি-মেলের যে সুবিধেগুলোর কথা আপনি তেমন করে জানতেনই না।
১. এক্সট্রা ডটেড অ্যাফেয়ার
অনেকেরই ধারণা আছে যে, জি-মেল মেল-আইডি-র ব্যাপারে ভীষণ স্পর্শকাতর আর সাবেকি। আইডি-র প্রত্যেকটি অক্ষরকে তাই যেমনটি তেমন বসাতে হবে; ভুল করেও তার মধ্যে কোনও ডট্ (.) পড়লে চলবে না! পড়লেই চিত্তির; মেল আর পৌঁছাবে না ঠিকানায়!
আমি বলি, গুজবে কান দেবেন না। আধুনিকা জি-মেলের এসব বাতিক তো নেই-ই; উল্টে সে এক্সট্রা-ডটেড আইডি-কেও হেসেখেলে সামলে নেয়। ধরুন, আপনি মেল পাঠাতে চাইছেন anirbanchaudhury@gmail.com ঠিকানায়। ওদিকে টাইপ করার সময়ে তাড়াহুড়োয় একটা পুট পড়েই গেল। আইডি-টার চেহারা দাঁড়াল, anirban.chaudhury@gmail.com! নিশ্চিন্ত থাকুন, অনির্বাণ আপনার মেল ঠিক পাবে!
এই ফাঁকে চুপিচুপি বলে রাখি, a.n.i.r.b.a.n.c.h.a.u.d.h.u.r.y.@gmail.com – এভাবে পাঠালেও জি-মেল আপনার কথা ঠিক পৌঁছে দেবে। আইডি-র অক্ষরের মাঝে কী রইল, এসব নিয়ে জি-মেল আদৌ মাথা ঘামায় না।
২. জি-মেলের অ্যালার্মিং স্নুজ (snooze)
চোখ কপালে তুলবেন না! দিনকালই এমন যে একটা প্রযুক্তি দ্যাখ না দ্যাখ নিজেকে ফিট করে ফেলছে অন্যের শরীরে। জি-মেলের শরীরেও যদি একটু-আধটু অ্যালার্মিং গুণাগুণ দেখা দেয়, মন্দ কি? তা বলে জি-মেলে অ্যালার্ম বাজবে- এটা আশা করবেন না, প্লিজ!
ভেবে দেখেছেন কখনও, ঝপাঝপ একটার পর আরেকটা মেল, আগেরটা বন্ধ না করেই এন্তারসে খুলে গেলে, ইনবক্সটাকে কেমন ভয়ানক দেখতে লাগে? তাছাড়া, যে মেলগুলো খোলা হল, সেগুলো বন্ধ করবে কে- এই কূটনৈতিক প্রশ্নটাও সাবকনশাস মনকে বড্ড বিরক্ত করে। সেটা বুঝতে পেরেই জি-মেল হাতের নাগালে রেখেছে the free Gmail app Boomerang। এটা ব্যবহার করতে শুরু করলেই অর্ধেক সমস্যা মিটে গেল। যত খুশি মেল খুলুন আর একটা টাইমার সেট করে রাখুন। দেখবেন, সেই নির্দিষ্ট সময়ের পরে খোলা মেলগুলো নিজে থেকেই কেমন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সুড়সুড় করে!
৩. চোর ধরবে জি-মেল
আগেই একবার বলেছি, আইডি-র অক্ষরের মাঝে কী চিহ্ন রইল, তা নিয়ে জি-মেল মোটেই ভাবিত নয়। আপনিও ভাবিত না-হয়ে ওই সুবিধেটাকেই কাজে লাগিয়ে চোর ধরতে পারেন। সেই চোরকে, যে আপনার আইডি পাচার করছে অন্যের কাছে। কীভাবে?
ধরুন, আপনি গেছেন কোনও অন-লাইন কেনাকাটার সাইটে। সেখানে সাইন আপ (sign up) করবেন নিজের আইডি দিয়েই। নইলে কেনাকাটার কতটা কী হল, সেই নোটিফিকেশন চটজলদি পাবেন কই? এখন, এই যে অন্য সাইটে নিজের আইডি ছাড়ছেন, তা নিরাপদ তো? সেটাই বাজিয়ে দেখুন জি-মেল দিয়ে।
স্রেফ ‘+’- এই চিহ্নটা বসিয়ে দিন আইডির শেষে আর তার পরে জুড়ে দিন আরেকটা কিছু। anirbanchaudhury@gmail.com-এর বদলে যেমন লিখতে হবে anirbanchaudhury+shopping@gmail.com। ব্যস, যথেষ্ট। নিশ্চিন্ত থাকুন, ওই অন-লাইন সংস্থার সব নোটিফিকেশন তো আপনি পাবেনই; তার ওপর পেলেও পেতে পারেন অন্যান্য কিছু অন-লাইন সংস্থার নোটিফিকেশনও। তারপর আর বুঝতে বাকি কী থাকবে যে কে পাচার করেছে আপনার আইডি?
৪. ডেস্কটপে মেলের নোটিফিকেশন
নিশ্চিন্ত থাকুন, আপনি ঠিকই পড়ছেন। মেল এলে তার নোটিফিকেশনটা আপনার ডেস্কটপেই পপ-আপ (pop-up) করে জানিয়ে দিতে পারে জি-মেল। দরকার শুধু সেটিংস্-এ (Settings) গিয়ে সামান্য স্ক্রল ডাউন (scroll down) করে ডেস্কটপ নোটিফিকেশন-টা (Desktop Notifications) অ্যাক্টিভেট করে রাখা।
তারপরে, সে পরকীয়ার হোক অথবা কাজের, ঘন ঘন মেলের আনাগোনায় চোখ রাখাটা আপনার আটকায় কে?
৫. এক ক্লিকে ইনবক্স সাফ
জি-মেলের দয়ার শরীর, বিনিপয়সায় নেহাত কম জায়গা আমাদের সে দেয় না। কিন্তু তারপরেও এই আমার মতো পৃথিবীর বিচিত্র প্রাণীরা কি আর সেই ইনবক্সটাকে ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোট এ তরী’ পর্যায়ে নিয়ে যায় না? একটিও মেল মুছে না দিয়ে জঞ্জাল বোঝাই করে না? তারপরে যখন মেল আসে না বা যায় না, তখন নাকানিচোবানিটাও ভোগ করে ভালমতোই।
কিন্তু দয়ালু জি-মেল আদতে মুশকিল আসানও। বার বার ক্লিক করে আঙুলে ব্যথা ধরিয়ে সব মেল মোছার যাতনা থেকে সে আমাদের রেহাই দিয়েছে। এটা তো লেখাই থাকে যে সবশুদ্ধ ক’টা মেল ইনবক্সে জমা হয়ে আছে। এই আমারই যেমন, ১,৩৩৭ খানা! তাহলে উপায়? ওই সংখ্যার জায়গাটা থেকে চলে যান ‘শো মোর মেসেজেস’-এ (show more messages)। তার পরে বাঁ দিকের একেবারে ওপরে ছোট্ট বক্সটায় শুধু একটা ক্লিক করলেই কেল্লা ফতে। সঙ্গে সঙ্গে সবক’টা মেল মার্কড্ হয়ে যাবে। তারপর সেগুলোকে মুছে ফেলতে আর কতক্ষণ?
৬. মেল পাঠিয়েও ফিরিয়ে নেওয়া
আচ্ছা, এরকম কি হয় না যে একটা মেল চলে গেল ভুল ঠিকানায়? অথবা চিঠির বয়ানে বানান ভুল-টুল রয়ে গেল? এরকম যদি হয়েই থাকে- সে লজ্জা ঢাকবেন কীসে?
ওই জি-মেল দিয়েই। অতশত না-ভেবে সোজা চলে যান সেটিংস-এ (Settings)। সেখান থেকে ল্যাবস্ (labs)। তার পরে একটু স্ক্রল ডাউন করে আন-ডু সেন্ড (undo send)। আর কী, হয়েই গেছে। শুধু এনেবল (enable) করে সেভ চেঞ্জেস (save changes) ক্লিক করলেই হল। আপনার রহস্য তাহলে গোপনই থাকবে।
৭. সুশৃঙ্খল জি-মেল
মানুষের বাচ্চার মতো জি-মেলও বেয়াড়া হয় ঠিকঠাক শৃঙ্খলার অভাবে। আর সেটা হলে আখেরে নিজেরই মুশকিল। হয় কোনও কাজের মেল খুঁজে পাবেন না ঠিক সময়ে, অথবা কোনও দরকারি মেল মনের ভুলে মুছে দিয়ে বসে থাকবেন। কী দরকার এত ঝক্কির? তার চেয়ে নানান রকম চিহ্ন ব্যবহার করে কোন মেলটা দরকারের, কোনটা নয়- সেটা মার্ক করে রাখলেই তো হয়।
তার জন্য চলে যান জেনারেল-এ (general), সেখান থেকে স্টার্স-এ (stars)। ওখানে পাক্কা ছয় রকমের রঙিন তারা আর ছয় রকমের আরও হরেক চিহ্ন পাবেন। কোনটা কীসের জন্য ঠিক করে ফেলে সেভ চেঞ্জেস (save changes) করে ফেললেই আপনাকে আর পায় কে?
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
অনলাইনে আয় -এই ধারণাটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
অনলাইনে আয় -এই
ধারণাটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতিটি দেশেরই একটি
উল্লেখযোগ্য অংশ- ছাত্রসমাজ, গৃহিণী এবং আর অনেকে যারা হয়তো কোন ফিক্সড
চাকুরীতে নেই তারা বিশেষত সবসময়েই ঘরে বসে অনলাইনে আয়ের ব্যাপারে আগ্রহী
থাকেন। আজ আমি এমন কিছু সাইটের উল্লেখ করতে যাচ্ছি যা একইসাথে সহজ,
বিশ্বাসযোগ্য এবং যা থেকে ঘরে বসেই আয় করা সম্ভব।
তবে দেশে-বিদেশে বহু
ভুয়া হায় হায় কোম্পানী আছে ঠিকই; যারা প্রতিক্লিকে ১, ২, ৫, ১০ ডলার বা
এরও বেশী ডলার দেয় বলে প্রচার করে–সেগুলোও ভূয়া বা স্কাম সাইট নিশ্চিত
জানবেন। তাই বলে প্রকৃত অনলাইন আয়ের সাইট কি নেই? কয়েকটি সাইটে
সামান্য টাকা ইনভেস্ট এবং বাকীগুলোতে ইনভেস্ট ছাড়াই লাইক দেয়া, শেয়ার
করা, ফলো করা, ভিডিও দেখা, সার্ভে করা, পিটিসি, পিটিএস ইত্যাদির মাধ্যমেও
বেশ আয় করা যায়।
অনেকেই হয়তো জানেন না
যে, পিটিসি সাইটের বেশীর ভাগেই পিটিসি, পিটিএস ছাড়াও সার্ভে করা, ভিডিও
দেখা, বিভিন্ন কন্টেস্টে অংশ নিয়ে শুধু সামান্য সেন্ট নয় অনেক ডলারও আয়
করা যায়। আমরা বোকারা শুধু ক্লিকবাজী ছাড়া এদের বিভিন্ন অপশনে গুঁতাও
দিয়ে দেখিনে যে, এসব সাইটের বিভিন্ন অপশনে আবার কী কী আয়ের সুযোগ আছে?
তাই দয়া করে সব অপশনে ক্লিক করে দেখুন.
কাজ সমুহঃক্লিক করে আয় করতে পারেন।
সাইন আপ করে আয় করতে পারেন।
Referral করিয়ে আয় করতে পারেন।
রেজিশট্রেশন করুন : Registration করতে এখানে ক্লিক করুন
১ ডলার হলেই টাকা তুলতে পারবেন Payza/ Paypal এর মাধ্যমে।
পে-পার-ক্লিকঃ $০.০১-$০.০৩
রেফারেল থেকে আয়: ১০%-১০০%
পেমেন্টস্ ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠানো হবে।
সতর্কতাঃ ভুলেও বেশি আয়ের লোভে একটি কম্পিউটার থেকে একাধিক একাউন্ট খুলবেন না।
তাহলে আপনার একাউন্ট তো ব্যান হবেই আপনি আর ঐ কম্পিউটার থেকে আর এখানে একাউন্ট
খুলতে পারবেন না।
আমি খুব সহজে আয় করতে পেরেছি । এবার আপনার পালা !!
ধন্যবাদ সকলকে। কোন প্রশ্ন বা অনলাইনে আয় সম্পর্কিত কিছু জানার থাকলে মন্তব্য করুন, আমি সমাধান দেয়ার চেষ্টা অবশ্যই করব।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)